চৌধৃুরী হারুন,রাঙামাটি: রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো নাভানা হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ‘নাভানা রাঙামাটি হাফ ম্যারাথন-২০২১’ শীর্ষক এ দৌঁড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে স্থানীয় সংস্থা ‘রাঙামাটি রানার্স’ এবং মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের পরিচালিত শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন ‘মেডিসিন ক্লাব’। এতে সহযোগিতা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল। টাইটেল স্পন্সর ছিল নাভানা গ্রুপ এবং সার্বিক সহযোগিতা করেছে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
প্রতিযোগিতায় ২১ দশমিক ১০ কিলোমিটার (হাফ ম্যারাথন) এবং ১০ কিলোমিটার (মিনি ম্যারাথন)- এ দুই ক্যাটাগরিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই শতাধিক দৌড়বিদ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ইভেন্টের ১০ কিলোমিটার ক্যাটাগরির পুরুষ বিভাগে ৪৫ মিনিট ৩২ সেকেন্ড সময়ে চ্যাম্পিয়ন হন সাক নাহিদ, ৪৬ মিনিট ৫১ সেকেন্ড সময়ে মো. শরিফুল ইসলাম প্রথম রানার্স আপ এবং ৪৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ড সময়ে শাকিল সিদ্দিকী দ্বিতীয় রানার্স আপ হন। মহিলা বিভাগে ১ ঘণ্টা ০৭ মিনিট ২২ সেকেন্ড সময়ে চ্যাম্পিয়ন হন শবনম আক্তার, ১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড সময়ে শারমিন আক্তার শিল্পা প্রথম রানার্স আপ এবং ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট ৩ সেকেন্ড সময়ে দ্বিতীয় রানার্স আপ হন রাঙামাটির আকাশ লীনা চাকমা।
২১.১০ কি.মি হাফ ম্যারাথন ক্যাটাগরির পুরুষ বিভাগে ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড সময়ে চ্যাম্পিয়ন হন রাঙামাটির নবজীব চাকমা, ১ ঘণ্টা ৫১ মিনিট ৬ সেকেন্ড সময়ে রাঙামাটির উৎস চাকমা প্রথম রানার্স আপ এবং ১ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট ২৩ সেকেন্ড সময়ে দ্বিতীয় রানার্স আপ হন ফোরহান জামান। মহিলা বিভাগে একমাত্র অংশগ্রহণকারী মমতাজ বেগম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করে চ্যাম্পিয়ন হন।
সকাল ৬টায় প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। সকাল ১০টায় পুরষ্কার বিতরণী পর্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
২১ দশমিক ১০ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন ক্যাটাগরির প্রতিযোগিরা রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ হতে শুরু করে শহরের দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার-রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়-আনন্দ বিহার-তবলছড়ি-নারকেল বাগান-আসামবস্তি ব্রিজ-রাবিপ্রবি রাস্তা-মানিকছড়ি ব্রিজ-ঢেপ্প্যোছড়ি (বনভান্তের স্মৃতিমন্দির সংলগ্ন)-আসামবস্তি ব্রিজ হয়ে নারকেল বাগান হর্টিকালচার সেন্টার এবং ১০ কিলোমিটার (মিনি ম্যারাথন) ক্যাটাগরির প্রতিযোগিরা একই স্থান থেকে শুরু করে আসামবস্তি ব্রিজ হয়ে ইউটার্ন নিয়ে নারকেল বাগান হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে দৌড় শেষ করেন।