রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটিতে চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন স্বতন্ত্র এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি হলেন জেলার নানিয়ারচর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জ্যোতি লাল চাকমা। সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাছাইয়ের দিন নানিয়ারচর উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তা বিভূতি চাকমা স্থানীয় সরকার (ইউপি) নির্বাচনের বিধিমালা সঠিক অনুসরণ না করে ঋন খেলাপি দেখিয়ে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো সুযোগ দেননি। ৪ ডিসেম্বর আপিল শুনানিতে যৌক্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করা হলেও তা আমলে না নিয়ে উপজেলা রিটানিং অফিসারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান। পরে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করি। হাইকোর্ট ২২ ডিসেম্বর ন্যায়ের পক্ষে রায় দেওয়ায় প্রার্থিতা ফিরে পাই। কিন্তু নির্বাচনি প্রচারণার সময় পাইনি। এজন্য ২৬ ডিসেম্বরের নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে প্রচারের সুযোগ পেতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দাবি জানাই। এতে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তা সম্ভব না বলে জানিয়ে দেন। এ অবস্থায় নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগ না পেয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারসহ নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে বাধ্য হলাম।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী জ্যোতি লাল চাকমার যেহেতু ব্যাংকের ঋণ ছিল, সেজন্য তার প্রার্থিতা বাতিল করতে হয়েছে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় তাকে প্রচার-প্রচারণা করতে বলা হয়। এছাড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পক্ষে নির্বাচন পেছানোর কোনো ক্ষমতা নেই। সেটি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে।
এদিকে চতুর্থ ধাপে রাঙামাটির ১০ ইউপিতে ভোট হচ্ছে আজ। সেগুলো হল- রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা, বালুখালী, মগবান, জীবতলী, সাপছড়ি ও কুতুকছড়ি এবং নানিয়ারচর উপজেলার নানিয়ারচর সদর, বুড়িঘাট, সাবেক্ষং ও ঘিলাছড়ি। এসব ইউপিতে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান।