রাঙামাটি প্রতিনিধি: ইদুল আজহাকে সামনে রেখে ভোগ্যপণ্য এবং মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে রাঙামাটিতে বাজার মনিটরিং করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৭ জুন) বেলা ১২টার রাঙামাটি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপা কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেছেন রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ।
এসময় ভোগ্যপণ্যের বাজার দর যাচাই ও ব্যবসায়িদের সঙ্গে কথা বলেন জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ সুপার। তাঁরা ব্যবসায়িদের ইদকে কেন্দ্র করে ভোগ্যপণ্য ও মসলার বাজার স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। পরে রাঙামাটি জেলা শহরের একমাত্র কোরবানি পশুরহাট পৌর ট্রাক ট্রার্মিনাল পরিদর্শন করে জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বাধীন মনিটরিং টিম। এসময় তাঁরা কোরবানির পশুরহাটে বাজার দর যাচাই করেন এবং ক্রেতা-বিক্রেতা কথা শোনেন।
ভোগ্যপণ্যের বাজার ও পশুরহাট মনিটরিংয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার বিজয় কুমার জোয়ার্দার ও কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিনসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ভোগ্যপণ্য, মসলার বাজার ও পশুরহাট পরিদর্শন করেছি৷ বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মসলার বাজারে জিরায় দাম কিছুটা বেশি মনে হয়েছে; ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। এর মধ্যে আদা কিছুটা কম পাওয়া গেছে, চাইনিজ (চীনা) আদার সংকট রয়েছে। মরিচ পর্যাপ্ত দেখা গিয়েছে। অন্যান্য মসলা ও ভোগ্যপণ্যের বাজার মোটামুটি স্বাভাবিক বলা যায়।
পশুর হাট প্রসঙ্গে জেলাপ্রশাসক বলেন, কোরবানির দিন ঘনিয়ে এলেও আজ সকালে বাজারে ক্রেতা কিছুটা কম দেখা গিয়েছে। বিকালে কিংবা আগামীকাল ক্রেতার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, বেলা ১টার দিকে বনরূপা বাজারে দুইজন মাছ বিক্রেতাকে ১ হাজার টাকা করে ২ হাজার টাকা জরিমানা দণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদেরকে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করে মাছের বিক্রয় মূল্য তালিকা প্রদর্শনের জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় দুইজন মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান বিজয়। উল্লেখ্য পশুর হাট ট্রাক ট্রামিনালে হওয়ায় হাসিল ও গরু বাজার সিন্ডিকেট নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে।একটি হওয়ার কারনে।