নিজস্ব প্রতিবেদক: রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার প্রতিবেশীর নির্মাণ কাজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ: সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে সমাধান হচ্ছে না ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
ডেন্টাল চিকিৎসক জানায়,উত্তরধিকার সুত্রে প্রাপ্ত পৈত্রিক ভিটার পাশর্^বর্তী প্রভাবশালী অঢেল সম্পত্তির মালিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী চন্দন ধর প্রতিবেশীর অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন অভিযোগ করে আসছি। অভিযোগকারী রণজিত ধর আরো বলেন, সীমানা প্রাচীর ঘেষে বিল্ডিং নিমার্ণ করতে গিয়ে অধিকাংশ জায়গা দখল করায় কাচা ঘরে ওয়াল ঝুকিপুর্ণ হয়ে যে কোন মুহুর্তে জান মালের ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
অভিযোগকারী রণজিত ধর প্রতিবেশী চন্দন ধর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমানাদিসহ রিজিয়ন কমান্ডার ৩০৫ পদাতিক ডিভিশন,অধিনায়ক ডিজিএফআই,উপ-পরিচালক জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, জেলা প্রশাসক ,পুলিশ সুপার রাঙামাটি ,রাঙামাটি,উপ-পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্মিত কার্য্যলয়, মেয়র রাঙামাটি পৌরসভা,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সদর রাঙামাটি,ওসি ডিএসবি রাঙামাটি, সর্বশেষ সহকারী কমিশনার ভুমি বরাবরে অভিযোগ করে সরেজমিনে তদন্ত র্প্বুক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনে প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সহকারী ভুমি অফিস ইতিমধ্যে ১৮/০৪/২০২৩ খৃী: শুনানী করা হয়েছে। তার আগে উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাজমা বিনতে আমিন ২৭/২/২৩ খৃী: শুনানী করেন।
তদন্ত প্রতিবেদন সুত্রে জানা যায়,পুলিশ সুপার নির্দেশে কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আকতার হোসেন সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন ০৯/০১/২০২৩ খৃী: তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন অভিযোগকারী রণজিত ধর ১ নং ওয়ার্ডের গীতাশ্রম কলোনীর আবাসিক প্লটের ৩৩২ নং স্থায়ী বাসিন্দা। অভিযুক্ত চন্দন ধর (৫০) যার প্লট নং ৩৩১ অভিযোগকারীর বাড়ীর দক্ষিনে সীমানা প্রাচীর ঘেষা। বর্তমানে অভিযুক্ত বাড়ীর নিমার্ণ করতে গিয়ে ছাদ ঢালাই,ইটের গাথুনি করতে বাড়ীর দেওয়াল কোন প্রকার দুরত্ব রাখেনি। অভিযোগকারীর বাড়ীর টিনের ছাউনি নষ্ট করিয়া তাহার সীমানায় প্রবেশ করিয়াছে। ছাদের পয়নিস্কায়নের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অভিযোগকারীর বাড়ীর পয়-নিস্কায়নের যে ড্রেন তাহার নিজ দখলে আছে। যে কোন মুহুর্তে ড্রেনটি অভিযুক্ত চন্দন ধর দখলে নেওয়ার সম্ভবনা রহিয়াছে। অভিযোগকারীর বর্ণিত বাড়ীর দেওয়ালের সামনে অভিযুক্ত নির্মাণ সামগ্রী ইট,বালু,রড,সিমেন্ট রেখে দেওয়ালের মারাত্বক ক্ষতি সাধিত হয়েছে যাহা অনতিবিলম্ভে সংস্কার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত কর্তৃক তাহার ভবন নির্মানের পৌরসভার অনুমোদন, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত নকশা, ও বিল্ডিং কোড মানা হয়েছে কিনা সেই সংক্রান্ত কোন বৈধ ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি। সার্বিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমানে অভিযোগকারীর বর্ণিত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মাধ্যমে নিস্পক্তির পরামর্শ প্রদান করেছেন।
এই বিষয়ে চন্দন ধর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানায়, আমার জায়গায় পুরাতন বাড়ীকে নতুনভাবে নিমার্ণ করছি । আমার বিরুদ্ধে সদর ভুমি অফিসে অভিযোগ করেছে তারা এসে ঘটনাস্থল দেখে যাবে।