পার্বত্যঞ্চলের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি রাজবন বিহারে দুইদিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপাসক-উপাসিকাদের পঞ্চশীল গ্রহণ দিয়ে শুরু এ মহাপুণ্যানুষ্ঠান শেষ হয় শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উড়িয়ে। অনুষ্ঠানে অগণিত পুণ্যার্থীর ঢল নামে।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকে রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য পুণ্যার্থীর রাজবন বিহারে সমাগম ঘটে। এদিন সন্ধ্যায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের রাজবাড়ি জিমনেসিয়াম চত্ত্বর হতে রাজবন বিহারের মুলগেট পর্যন্ত মেলা বসে। পুণ্যার্থীদের সমাগমে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে গোটা রাজবন বিহার এলাকা।
শুক্রবার শেষ দিন সকাল থেকে পালিত হয়েছে ধর্মীয় নানা কর্মসূচি। এদিন সকালে প্রাতরাশ, বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, সুত্রপাঠ, বিকালে কঠিন চীবর দানোৎসব ও ধর্মীয় দেশনা এবং সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উড়ানো হয়েছে।
বিকালের পর্বে সমবেত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে সদ্ধর্ম দেশনা দেন রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষুপ্রধান ও মহাসাধক বনভান্তের উত্তরসুরি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ অন্য বৌদ্ধভিক্ষুরা। অনুষ্ঠানে পূণ্যার্থীদের পক্ষে পঞ্চশীল প্রার্থনাসহ কঠিন চীবর উৎসর্গ ও স্বাগত বক্তব্য দেন- রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান। অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, সাবেক উপমন্ত্রী মণিস্বপন দেওয়ানসহ মান্যগণ্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।