বিশেষ প্রতিনিধি: রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় সরকারের নির্দেশিত লকডাউনের নিময় কানুন না মানায় কোরবানীর পশুর হাট বসায় বন্ধ করে দিয়েছেন ,পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পশুর হাট বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয় ঠিকাদার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ফয়জুল আজিম জানায়, শনিবার মাঠে কোরবানীর গরুর বাজার বসে ,হঠাৎ ২ ঘটিকার পর লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার গরু হাট বন্ধ করে দিয়েছেন । তার আগে সকাল থেকে দুর দুরান্ত থেকে অনেক গুরু জমায়েত হয় এবং অধিকাংশ বিক্রি হয়ে যায় ।
গত শনিবার (৩ জুলাই) স্থানীয় ও পশু ক্রেতারা জানায়, সকালে উপজেলার মাইনীমুখ বাজারের লঞ্চঘাট এলাকায় বসে কোরবানির পশুর হাট। সকাল থেকে বেচাকেনা করতে কোরবানির পশু নিয়ে আসতে শুরু করে ক্রেতা-বিক্রেতারা। এতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে চলছিলো কেনাবেচা এবং মাস্ক ছিল না অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে।
এ বিষয়ে বাজারের ইজারাদার মো. কালাম হোসেন বলেন, ‘শনিবার হাটের দিন। লকডাউনের কারণে কোরবানির জন্য পশুর হাটটি খোলা স্থানে বসিয়েছি।’ ‘সকাল থেকে মাস্ক বিতরণ করছি, তবে এটা ঠিক, অনেকেই মাস্ক পরেন না।’
সাপ্তাহিক পশুর হাট বসানোর অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনও অনুমতি আমাদের নেই। এখানকার স্থানীয়রা সারা বছর কোরবানির এই মৌসুমটার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারী পশু কিনতে বাজারে আসেন।’
এ ব্যাপারে লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাইনুল আবেদীন জানান, লংগদু উপজেলায় সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করার উদ্দেশ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনা না করায় মাইনীমুখ বাজার গরুর হাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলেছি হাট বন্ধ করে দিতে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই হাট বন্ধ থাকবে ।