1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

রাজীবের মান ভাঙাতে বৈঠকে পার্থ–প্রশান্ত, হতে পারে ফের বৈঠক

  • Update Time : রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৫২ Time View

বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা : মিটেও মিটল না তৃণমূল–রাজীব বিতর্ক। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিতর্কে নেতিবাচক পরিণতির কথা ভেবেই রাজীব বিতর্ককে বাড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল শীর্ষ নেতারা। তাই তাঁরা তাঁর সঙ্গে দ্রুত বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন। রবিবার হয় সেই বৈঠক। তবে প্রায় দু’ঘণ্টার বৈঠকেও এই বিতর্কে কোনও মীমাংসাসূত্র পাওয়া যায়নি। তবে হাল ছাড়তে রাজি নয় কোনও পক্ষই। উভয় তরফেই জানানো হয়েছে আলোচনার রাস্তা খোলা। বৈঠক শেষে রাজীব জানান, ‌আলোচনা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলার নেই।‌

বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এমন সব কথা শোনা যাচ্ছিল, যে কারণে রাজনৈতিক মহলে যেমন জল্পনা তীব্র হতে শুরু করে। তেমনই তৃণমূলের মধ্যেও অস্বস্তি বাড়তে থাকে। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের মাঝেই রাজীব বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় তৎপর হয়ে ওঠেন দলের শীর্ষনেতারা। রবিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে দুই পক্ষের বৈঠক হয়। বৈঠকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরে কলকাতা–সহ বেশ কিছু জায়গায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দল–বিরুদ্ধ বেশ কিছু পোস্টার, ফ্লেক্স দেখা যায়। এমনকী, রবিবারও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টার দেখা গিয়েছে। সেখানে লেখা, ‘শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, রাজীবদাই ভরসা।’‌ কোনওটিতে লেখা, ‘দিকে দিকে লাখে লাখে, চাইছে মানুষ রাজীবদাকে।’

 

সূত্রের খবর, এদিনের আলোচনা এবং ফলাফল তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দেবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নেত্রীই ঠিক করবেন। তিনি যদি চান, তা হলে পরবর্তী বৈঠক হবে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই বৈঠকে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। অবশ্য এদিনের বৈঠকে অনেকটাই নরম দেখা গিয়েছে রাজীবকে। তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে যেন শুভেন্দু অধিকারীকে মিলিয়ে দেওয়া না হয়। বলেন, ‘‌আমার সঙ্গে শুভেন্দুকে জড়াবেন না। শুভেন্দুর বিষয়টি তাঁর ব্যক্তিগত। দলের মধ্যে অনেকেই থাকেন। তাই কারও মনে ক্ষোভ থাকতেই পারে। তবে, আমার বিশ্বাস, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত ক্ষোভ মিটে যেতে পারে।’‌ রাজীবের এই মন্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অবশ্য এদিনের বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে কিনা, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে যে ভাবে বাইরে যে সব পোস্টার পড়ছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কারা এসব পোস্টার লাগাচ্ছেন, তা আমি জানি না। এসব পোস্টার–ফ্লেক্স লাগানোর ব্যাপারে আমার সমর্থনও নেই। কেউ আমার কাছ থেকে অনুমতিও নেয়নি। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজীবের এই বক্তব্যও যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ তাঁরই নামে পোস্টার লাগাবে, এমন ভাবনা অতিরিক্ত হয়ে যাবে। অবশ্য বৈঠক শেষে রাজীব বলেন, ‘‌আমি তৃণমূলের একজন কর্মী। পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব তথা মহাসচিব আমাকে ডেকেছিলেন। তাই আমি এসেছিলাম। দলের রণনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলার নেই।’

তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তৃণমূলের কিছু নেতার দুর্নীতি নিয়ে তিনি বৈঠকে সরব হন। কয়েকজন নেতার নামও করেন। এমনকী, দলের কিছু নেতার স্তাবকতা নিয়েও নিজের ক্ষোভ জানান। রাজীবের বক্তব্য এবং অভিযোগ শোনেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্ত কিশোরও বৈঠকে কিছু কথা বলেন। তবে তিনি কী কথা বলেন, তা জানা যায়নি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৈঠকের সম্পূর্ণ রিপোর্ট দেবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পরই পরবর্তী বৈঠকের দিন ধার্য করা হবে। এদিকে, দল বিরোধী কাজের জন্য এদিনই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরে তিনি শুভেন্দু–ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত।

তবে দলের এই সিদ্ধান্তের পর সবাইকে মিষ্টিমুখ করান কনিষ্ক। বলেন, ‘পাপমুক্ত হলাম। এখন আমার শান্তি লাগছে। এই দলে থাকায় আমার অনেক লজ্জা ছিল। সেই লজ্জা থেকে আজ মুক্তি পেয়েছি।’ পাশাপাশি দলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এখন তো তৃণমূলের চলে যাওয়ার সময়!’ সম্প্রতি মেদিনীপুরে এসে অখিল গিরিকে সমর্থন করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দুকে। সেই প্রসঙ্গে কনিষ্ক পাল্টা বলেছিলেন, ‘রাজনীতির ময়দানে তাঁর সঙ্গে দেখা হবে। তাঁর উচিত শুভেন্দুদার কথা না ভেবে নিজের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন।’ আর রবিবার তিনি বলেন, ‘আমি তৃণমূল কোনও দিনই করতাম না। করতাম শুভেন্দু অধিকারীর দল।’

মমতা–প্রসঙ্গে কনিষ্ক বলেন, ‘দিদির সব কিছুই মিথ্যে। তাঁর স্বাস্থ্যসাথী মিথ্যে। যখন হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাবেন, তখন তাড়িয়ে দেবে। দিদির কাছে কোনও টাকা নেই। দিদির যে ঋণ আছে, তা ঢেকে দিলেও ঋণ শোধ হবে না।’ এর পরই তৃণমূল আর ঝুঁকি নেয়নি। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..