1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

রায়হান কবিরের মুক্তি দাবি এইচআরডব্লিউ-এর

  • Update Time : বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০
  • ২২০ Time View
রায়হান কবিরের মুক্তি দাবি এইচআরডব্লিউ-এর

প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সরকারের নীতির সমালোচনার করার প্রতিশোধ হিসেবে বাংলাদেশি শ্রমিক রায়হান কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের ওপর সরকারের নিপীড়ন নিয়ে আল-জাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী রায়হান কবির। তার জের ধরে ২৪ জুলাই তাকে গ্রেপ্তারের পর ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ।

বিবৃতিতে রায়হান কবিরের বিষয়ে কথা বলেছেন ডব্লিউএইচও-এর এশিয়া বিষয়ক উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন। তিনি বলেন, ‘রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপ সব অভিবাসী শ্রমিকদের অবাধ গ্রেফতার, বহিষ্কার, কালো তালিকাভুক্তির মতো অধিকার হরণের মতো ঘটনায় কথা বলার বিরুদ্ধে একটি শীতল বার্তা দিচ্ছে। তথ্যচিত্রের একজন বক্তাকে গ্রেফতারের মানে হচ্ছে, মালয়েশিয়ার বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের বিধ্বংসী হামলা।

ফিল রবার্টসন বলেন, অভিবাসীদের ওপর আচরণ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলা কোনও অপরাধ নয়। এ রকম নির্যাতন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাও অন্যায় নয়। রায়হান কবিরের ব্যাপারে যেভাবে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে, তার প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার সরকারের উচিত তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া এবং দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি করার চেষ্টা করা।

গ্রেফতারের প্রথম দিন সাংবাদিকদের কাছে লেখা একটি চিঠিতে রায়হান কবির বলেছেন, আমি কোনও অপরাধ করিনি। আমি মিথ্যা বলিনি। আমি শুধুমাত্র অভিবাসীদের ওপর বৈষম্যের প্রতিবাদ করেছি। আমি চাই অভিবাসী ও আমার দেশের সম্মান নিশ্চিত হোক। আমার বিশ্বাস, সব অভিবাসী এবং বাংলাদেশি আমার পাশে থাকবে। ডব্লিউএইচও-এর বিবৃতিতে বলা হয়, আলোচিত ওই সাক্ষাৎকার প্রচারের পরই রায়হান কবির এবং আল জাজিরা- উভয়েই মালয়েশিয়ার সরকারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

ইতোমধ্যে আল জাজিরা টেলিভিশনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, মানহানি, এবং যোগাযোগ ও মাল্টিমিডিয়া আইন লঙ্ঘন সম্পর্কিত অভিযোগ আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আল জাজিরার তথ্যচিত্রটি প্রচার হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করে। সেখানে তার ছবি, নাম, ঠিকানার ব্যবহার করা হয়, যা অভিবাসীদের জন্য প্রতিকূল হয়ে ওঠা দেশটিতে তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, বিদেশিদের নিয়ে অহেতুক ভয়ের এই সময়ে রায়হান কবিরের ওপর মালয়েশিয়ার সরকারের এই রকম প্রকাশ্য হামলা বিরোধী শক্তিকে রসদ জোগাবে।

সংস্থাটি বলছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারে দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদেরও সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বাক স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, রায়হান কবিরের গ্রেফতার এবং আল জাজিরার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে দেশটির বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বড় ধরণের দমন পীড়নের একটি অংশ। সরকারের সমালোচনার করার কারণে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সাধারণ নাগরিকরাও তদন্ত ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।

২০২০ সালের ৩ জুলাই আল জাজিরা টেলিভিশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘লকডআপ ইন মালয়েশিয়ান লকডাউন-১০১ ইস্ট’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ২৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ওই প্রতিবেদনে করোনাভাইরাস মহামারিতে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে সরকারের নিপীড়ন নিয়ে কথা বলেন রায়হান কবির। এর জের ধরে ২৪ জুলাই গ্রেফতারের পর তাকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। গ্রেফতারের আগেই রায়হানের ওয়ার্ক পারমিট কেড়ে নেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং আর কখনও মালয়েশিয়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ল’ইয়ারস ফর লিবার্টি (এলএফএল) নামের মালয়েশিয়ার একটি মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্পষ্টতই আল জাজিরার প্রামাণ্যচিত্রে বৈষম্য নিয়ে কথা বলার কারণে কর্তৃপক্ষের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের শিকার হয়েছেন রায়হান। আল জাজিরা-র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মৌলিক মানবাধিকার। সে কারণেই তারা রায়হান কবিরের গ্রেফতারকে উদ্বেগজনক মনে করছে। কারণ, রায়হান কণ্ঠহীন ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আল জাজিরা একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি এর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। একে অপরাধ হিসেবে বিবেচনার কোনও সুযোগ নেই।

রায়হান কবিরের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বন্দরে। তার বাবা শাহ আলম একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ২০১৪ সালে তোলারাম কলেজে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে মালয়েশিয়া চলে যান রায়হান।

সূত্র: এইচআরডব্লিউ, বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..