এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর একেএম মনিরুজ্জামান রোববার (১১ অক্টোবর) সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ফুলবানু খাতুনের মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে সিআইডি পুলিশ তৎপর রয়েছে।
মামলার বাদী আহছান উল্লাহ বলেন, আমি এবং গুলো মিয়া একই মায়ের সন্তান; কিন্তু আমাদের বাবা ভিন্ন। সৎ ভাই গুলো মিয়ার কাছে মা ফুলবানু খাতুন (৮০) থাকতেন। গুলো মিয়া ও তার স্ত্রী রুবিনা প্রতারণার মাধ্যমে মা’র কাছ থেকে ধানী জমি ও বসত বাড়ির জায়গা লিখে নেয়। এ নিয়ে মা গ্রামে সালিসি বসান। সর্দাররা জমি ফিরিয়ে দেয়ার রায় দেন; কিন্তু গুলো মিয়া এ রায় অমান্য করে। পরে মা ফুলবানু আদালতে মামলা দায়ের করলে গুলো মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। একসময় গুলো মিয়া মাকে ফুসলিয়ে সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। সম্পত্তি লিখে নিয়ে গুলো ও তার স্ত্রী আমার মাকে ঠিকমতো ভাত কাপড় দিতো না। নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতো। একসময় তারা পরিকল্পনা করে মা ফুলবানুকে হত্যা করে লাশ হাওরে ফেলে দেয়। গত ২৬ আগস্ট আমার মায়ের লাশ হাওরের পানিতে ভেসে উঠে।
তবে অভিযুক্ত গুলো মিয়া বলেন, মা আমার; আমি আমার মাকে মারবো কেন? মা আমাকে খুশি হয়ে সম্পত্তি লিখে দিয়েছিলেন। সৎ ভাই আহছান উল্লাহ ষড়যন্ত্র করে মাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছিলেন। গুলো মিয়া দাবি করেন, মা ফুলবানু খাতুন হত্যাকাণ্ডের শিকার। কেউ পরিকল্পিতভাবে আমার মাকে হত্যা করে লাশ হাওরে ফেলে আসে। এটা কোনো দূর্ঘটনা নয়; এটা হত্যাকান্ড। এজন্য গুলো মিয়া সৎ ভাই আহছান উল্লাহকে সন্দেহ করে বক্তব্য দেন।
জয়ধরকান্দি গ্রামের ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন বলেন, গুলো মিয়া এবং আহছান উল্লাহ কেউই তাদের মাকে ঠিকমতো ভরনপোষণ দেননি। তারা তাদের মায়ের প্রতি নির্মম অবিচার করেছেন। ফুলবানু খাতুন হত্যাকাণ্ডের শিকার। হাওরের পানিতে চারদিন ফুলবানুর লাশ ভেসে ছিল। পরে লাশ শনাক্তের পর থানাপুলিশকে খবর দেয়া হয়।