প্রত্যয় নিউজডেস্ক: রাজধানীর গুলশানের অ্যাপেল থাই স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা ২৮ জনকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গুলশান থানা পুলিশ। স্পা সেন্টারটির কার্যকলাপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করতে এখন প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ম্যানেজারের রিমান্ড চাওয়া হবে। গুলশান থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রোববার রাতে গুলশান-২ এর ১০৫ নম্বর রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অ্যাপেল থাই স্পা সেন্টার থেকে ১২ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারীকে গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ।
গুলশান থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাংলাদেশের কোন অঞ্চল থেকে কীভাবে মেয়েদের আনা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। কতদিন ধরে এটা চলছে, কারা কারা আসতেন, তাদের আয়-ব্যয় তথ্যও জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে ব্ল্যাক মেইলের কোনো ঘটনা ঘটত কিনা সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
যোগাযোগ করা হলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, আটক ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলা তদন্তের স্বার্থে স্পা সেন্টারের মালিক ও ম্যানেজারের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। বাকিদের কারাগারে রাখার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
এদিকে রোববার স্পা সেন্টারটিতে অভিযান চালানোর পর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, এই স্পা সেন্টারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সী নারীদের এনে দেহব্যবসা পরিচালনা, যৌন নিপীড়নমূলক কাজ চালানো হচ্ছিল।
গুলশান থানা পুলিশ জানায়, রোববার রাত সাড়ে ৮টায় ওই স্পা সেন্টারে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে স্পার নামে এই সেন্টারকে অসামাজিক কাজে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় ১২ জন নারী ও ১৬ জন পুরুষকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরােধ ও দমন আইনে মামলা করেছেন গুলশান থানার এসআই মাে. ওলিয়ার রহমান।