দৈনিক প্রত্যয় ডেস্ক: পাঁচ বছর আগে আসন্ন মহামারি সম্পর্কে বিশ্বকে সর্তক করেছিলেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটস। ২০১৫ সালে টেডএক্সের এক বক্তৃতায় সেই কথা বলেন তিনি।
বুধবার, কোভিড-১৯ সম্পর্কে নতুন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা। লিংকড ইনের একটি সরাসরি কথোপকথনে এসব কথা জানান তিনি।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, বিল গেটস করোনা ভ্যাকসিনের জন্য আনুমানিক ১৮ মাসের একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আসার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
লিংকড ইনের ওই সরাসরি কথোপকথনে ভ্যাকসিন প্রতিষ্ঠান মর্ডানা ইনোভিও কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য বিশ্বব্যাপী কমবেশি ১০০টি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১০টির দ্রুত কার্যকারিতা নিয়ে আশা আছে।’
এই ১০টি উদ্যোগের একটির হলো মডার্না ইনোভিওর ভ্যাকসিন। তাদের ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগে ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ ও ‘কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস’ অর্থ দিয়েছে।
গত ১৬ মার্চ মডার্না মানবদেহে করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালিয়েছে। অন্যরাও আগামী মাসের মধ্যে ট্রায়াল শুরু করবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এই বছর মে মাস পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কঠোর নিয়ম অব্যাহত থাকবে। এতে দেশটির অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মনে করছেন ধনকুবের গেটস।
তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা আগামী মে মাসের আগে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর সবাই যার যার কাজে ফিরে যেতে পারবেন। কলকারাখানা, অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ হয়তো স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। তবে, অধিকাংশ মানুষের কাছে ভ্যাকসিন না পৌঁছানো পর্যন্ত খেলাধুলার ক্ষেত্রে বড় টুর্নামেন্টের আয়োজন করা উচিত হবে না।’
এর পাশাপাশি, কিছু সুখবরও জানিয়েছেন বিল গেটস। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর পর আর কোনো রোগ হয়তো মহামারি আকার ধারণ করতে পারবে না। কারণ, এই মহামারি থেকে আমরা যে শিক্ষা পেয়েছি তাতে ভবিষ্যতে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সবাই উদ্যোগ নেবে। এই মহামারির শিক্ষা থেকেই ভবিষ্যতে যেকোনো রোগের মহামারি ঠেকানো যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেবল ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য নয়, বিশ্বব্যাপী ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এরকম ওষুধে মনোযোগী হয়েছে, কাজ করছে। এর সুফল থেকে হয়তো পরবর্তী মহামারি থেকে আমরা রক্ষা পাব।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা অবকাঠামোর উন্নতির কারণেই ভবিষ্যতে কোনো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে তা সর্বোচ্চ চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।’
সুত্র : দ্য ডেইলি স্টার