1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

৪ বছর ধরে জাল স্বাক্ষরে হতদরিদ্রের চাল তুলছেন ৩ মেম্বার

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০
  • ১৩৯ Time View

দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদের তিন সদস্যের (মেম্বার) বিরুদ্ধে ১৪ দিনমজুরের স্বাক্ষর জাল করে ৪ বছর ধরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই তিন মেম্বারের শাস্তির দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এছাড়া ওই দিনই রেজিস্ট্রি ডাকযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ পাঠানো হয়।

অভিযুক্তরা হলেন, বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম।

দিনমজুর হলেন, উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের আব্দুল মজিদ (কার্ড নম্বর ৮১২), মো. সুলতান (কার্ড নম্বর ৮৫২), জাকির হোসেন (কার্ড নম্বর ৮১৭), আব্দুছ ছালাম (কার্ড নম্বর ৮৬৩), মেজবা উদ্দিন (কার্ড নম্বর ৮৬৭), মো. মাসুম (কার্ড নম্বর ৮৭২), মো. ফজলু (কার্ড নম্বর ৮৬৬), মো. জহিরুল, একই ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের আনোয়ার হোসেন (কার্ড নম্বর ১০৬৭), মো. তারিক (কার্ড নম্বর ১১১৩), ইসরাত জাহান (কার্ড নম্বর ১০৪৪), একই ইউনিয়নের ইলুহার গ্রামের মো. মনিরুল (কার্ড নম্বর ৫৭), সাহাদাত হোসেন (কার্ড নম্বর ৬১) এবং মো. মজিবর (কার্ড নম্বর ৫৩)। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগে জানান, ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার কথা বলে অভিযুক্ত তিন মেম্বার ২০১৬ সালে তাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে তাদের নামে কার্ড তৈরী করেন। কিন্তু ২০২০ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১০ টাকা কেজি দরের চাল পাননি তারা। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দেবে জানতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করলে তাদের জানানো হয় তাদের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড রয়েছে। ওই কার্ডের বিপরীতে নিয়মিত চালও উত্তোলন করা হচ্ছে। এ কারণে তাদের নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে না।

বিষয়টি জানাজানি হলে ইউপি সদস্য আবুল কালাম অভিযোগকারীদের মধ্যে ওই ওয়ার্ডের ৩ জনের কার্ড ফেরত দেন।

কার্ডগুলোতে দেখা যায়, ২০১৬ সাল থেকে মোট ১৭ বার স্বাক্ষর জাল করে প্রতিটি কার্ডের মাধ্যমে ৩০ কেজি করে ৫১০ কেজি চাল উত্তোলন করে আত্মসাত করা হয়। ওই তিন ওয়ার্ডে ১৪ জন দরিদ্রের ৫১০ কেজি করে ৭ হাজার ১৪০ কেজি চাল উত্তোলন করে তারা।

অভিযোগকারীরা জানান, বিষয়টি জানার পর ওই ৩ মেম্বারের শাস্তির দাবিতে সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডাকযোগে পৃথকভাবে দুদক বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জনতা বাজারে ওএমএস ডিলার মো. ইয়াছিন বলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. শহীদ ও স্থানীয় রব আমীন একবার ১২ জনের কার্ডের চাল উত্তোলন করেছেন।

দরিদ্রদের চাল উত্তোলনের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. শহীদ ও স্থানীয় রব আমীন।

চাল আত্মসাতের বিষয়ে ইলুহার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্যও আব্দুস সালাম বলেন, তাদের কার্ডের মাধ্যমে চাল নিতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু তারা চাল উত্তোলন করেনি। তবে আপনি কেন স্বাক্ষর জাল করে চাল উত্তোলন করলেন। এ প্রশ্নের উত্তরে চুপ থাকেন এ মেম্বার।

ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..