নিজস্ব প্রতিবেদক: রাঙামাটিতে ৮ দফা দাবীতে সংবাদ সম্মেলন পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। ৫ আগষ্ট শনিবার দুপুর ১২ ঘটিকায় রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স রুমে “পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের বৃহৎ স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবীতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পার্বত্য কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজি মুজিবুর রহমান ৮ দফা দাবীসহ ৩৩ টি বিষয়ে ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য বিস্তারিত আলোচনা করেন । এসময় উপস্থিতি ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সহসভাপতি ছাব্বির আহমেদ,মুহাম্মদ সোলায়মান কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ও জেলা সাধারণ সম্পাদক,আব্দুল মজিদ কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক, সাহাদৎ হোসেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও ইব্রাহীম পৌর কমিটি হাবীব আজম সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ প্রমুখ।
১। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠীর থেকে সমান সংখ্যাক সদস্য নিতে হবে।
২। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি এর কার্যক্রম মুরুর পুর্বে ,ভুমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভুমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে।
৩। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভুমির ওপর ন্যায়্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ভুমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারা সমুহ বাতিল করতে হবে।
৪। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রর্বতন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশাসকগণকে ভুমি বিরোধ নিস্পত্তির অধিকার দিতে হবে।
৫। কমিশন কর্তৃক ভুমি বিরোধ নিস্পত্তির কারণে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাস জমিতে পুর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬। পার্বত্য চট্টগ্রামের রীতি নীতি,প্রথাগত ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভুমি আইন অনুসারে ভুমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৭। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তিকৃত অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
৮। ভুমি কমিশনের রায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ রাখতে হবে।
স্বাধীনতা সর্বভৌমত্ব রক্ষা করা। সকল সম্প্রদায়ের মাঝে সাংবিধানিক অধিকার সমান ভাবে প্রতিষ্ঠা করা। প্রচলিত আইনে ৬১ জেলার ন্যায় তিনপার্বত্য জেলাতেও একইভাবে বিচার ব্যবস্থা চালু করা মুল লক্ষ্য। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা,সম্প্রতির পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠা করে সকল সম্প্রদায়কে নিরাপদে বসবাসের ব্যবস্থা করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে সন্ত্রাসীদের চিরতরে নির্মুল করা উদ্দেশ্য পার্বত্য নাগরিক পরিষদের।
উল্লেখিত দাবী সমুহ পুরুন না হলে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কোনটাই পুরণ হবে না। পার্বত্যঞ্চল সকলে এক সাথে মানুষ হিসাবে উপজাতি-অ-উপজাতি হিসাবে নয়।#