নিজস্ব প্রতিবেদক: রাঙামাটিতে টানা বর্ষনে তিনদিনে ১৭টি পাহাড় ধসের ফলে জরুরী সভা করেছেন জেলা প্রশাসক । ৬ আগষ্ট (রবিবার) জেলা প্রশাসনের কনফারেন্স রুমে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় জরুরী বেশ কিছু গুরুপুর্ণ সিদ্ধান্ত করেছেন। জেলা প্রশাসক মো: মোশারফ হোসেন খান , সকল সংস্থা ,স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে দুর্যোগ মোকাবেলায় যার যার অবস্থান থেকে সদা প্রস্তুত থাকার আহবান জানান। রাঙামাটি শহরে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫১৭ জনকে তিন বেলা খাওয়ানো হচ্ছে । প্রয়োজনে আরো আশ্রয় কেন্দ্র খোলার প্রস্তুত রেখেছি।
পুলিশ সুপার বলেন,৪ আগষ্ট ৫টি স্থানে ৫আগষ্ট ৩টি স্থানে ও ৬ আগষ্ট ৬টি স্থানে ভুমি ধসের কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা । তিনি আরো বলেন রাঙামাটি জেলা ১২টি থানা ৭টি পুলিশ ফাড়ির টিম দুযোর্গ মোকাবেলায় প্রস্তত রাখা হয়েছে ।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম(সার্বিক) এসএম ফেরদৌস ইসলাম (রাজস্ব) আব্দুল আল মাহমুদ (এডিএম) ও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার ,পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাজমা বিনতে আমিন. ওসি কোতয়ালী,সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ বিভাগের সাইফুর রহমান, জেলা তথ্য কর্মকর্তা, কাউন্সিলার কালায়ান চাকমা ও রবি মোহন,এলজিইডি নিবার্হী প্রকৌশলী আহমেদ শফি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী,জনস্থাস্থ্য বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী পলাশ বড়ুয়া, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সাংবাদিক সামশুল আলম ও চৌধুরী হারুনুর রশীদ প্রমুখ।
রাঙামাটিতে অতিবৃষ্টিতে শহরের রাঙাপানি এলাকায় যুব উন্নয়ন সংলগ্ন রাস্তার পাশের মাটি ধসে বৈদ্যতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সকাল থেকে ৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীনছিল রাঙামাটি শহরের বিস্তির্ণ এলাকা। রিজার্ভ বাজার, তবলছড়িসহ আশপাশের এলাকার অন্তত ২০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ না থাকায় কষ্ট পেয়েছেন এই সময়ে। জেলা শহর ছাড়াও বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি নানিয়ারচর, সদরের সাপছড়ি, রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে।
টানা কয়েকদিনের অতিবর্ষণে রবিবার সকাল দশটার দিকে রাঙাপানি এলাকায় রাস্তার পাশের মাটি ধসে যায়। এতে ৩৩হাজার লাইনের একটি বৈদ্যতিক খুঁটির নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে খুঁটিটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। লাইনটি মেরামত করতে সকাল ১১টার দিকে শহরের মাঝের বস্তি সাব স্টেশনের সকল লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার পর থেকে শহরের রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, মাঝেরবস্তি, রিজার্ভমূখ, পুরানবস্তীসহ আশপাশের এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এতে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পরেছে অন্তত ২০হাজার মানুষ।