বিশেষ সংবাদদাতা:
লকডাউনের জেরে গোটা ভারতের মতো পশ্চিমবাংলারও সমস্ত কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। লকডাউনের মেয়াদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে মানুষের অসুবিধের কথা ভেবে অত্যাবশ্যকীয় কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সেই পথ অনুসরণ করে পশ্চিমবাংলায়ও কিছু ছাড় রয়েছে। রাজ্য সরকারের অফিসগুলি অবশ্য বন্ধ রয়েছে।
এবার সেই পথ থেকে সরে এলো রাজ্য সরকার। আগামী ২০ এপ্রিল সোমবার থেকে রাজ্য সরকারের সমস্ত দপ্তরই খুলে যাবে বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তবে একই সঙ্গে তিনি এ কথাও জানিয়েছেন, সমস্ত কর্মীকে দপ্তরে আসতে হবে না। মোট কর্মীর ২৫ শতাংশকে নিয়েই সময় ভাগ করে দপ্তর চালানো হবে। কর্মীরা ছুটিও ভাগ করে পাবেন। কাজ করার সময় তাঁরা নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন।
কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, গোটা দেশেই এখন গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। ট্রেন চলছে না। বাস চলছে না। রাজ্যের অবস্থাও তাই। রাজ্য সরকারের কর্মীদের অধিকাংশই কলকাতার বাইরে শহরতলি এবং মফস্সল থেকে আসেন। ট্রেন বা বাস না চললে তাঁরা কলকাতা ও সল্টলেকের দপ্তরগুলিতে আসবেন কী করে? বলা বাহুল্য, মুখ্যসচিবের কাছ থেকে এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, সরকারি আধিকারিকদের জন্য গাড়ি মজুত থাকলেও সাধারণ কর্মীদের জন্য থাকে না।