মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জে দুইদিনের ব্যবধানে আবারও চালকের গলা কেটে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকেলে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনিচুর রহমান এ তথ্য জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের আজিমপুরা নামক স্থানে অটোরিকশা চালক ফারুক হোসেন বেপারীর (৩৮) গলা কেটে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তিন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- সাইফুল কবির (১৯), মো. শাহদাত হোসেন (১৯) ও বাবুল সর্দার (২৫)। আহত অটোরিকশা চালক ফারুক হোসেন বেপারী শহরের পশ্চিম গণকপাড়া এলাকার সিরাজ বেপারীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ফারুক হোসেন বেপারীর গলা কেটে তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পরে গুরুতর অবস্থায় রাস্তায় পরে থাকা অটোরিকশা চালক ফারুকের চিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাবা সিরাজ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। পরে ছিনতাইকারীদের দেয়া তথ্যেরে ভিত্তিতে তাদের ব্যবহৃত ধারালো সুইচ গিয়ার ও ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, আহত অটোরিকশা চালক ফারুকের অবস্থা এখন ভালো। তার দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের আটক করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে জেলার লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গোয়ালী মান্দ্রা-হলদিয়া সড়কের চাঁন খাঁর ব্রিজের সামনে অটোরিকশা চালক আশরাফুলের গলা কেটে তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পথেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।