পশ্চিমবঙ্গ সংবাদদাতা:২০২১ সালের মে মাসে হতে পারে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতি এবং দেশের নির্বাচন কমিশনের ওপর। এরই মধ্যে বাংলায় রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। শাসক দল তৃণমূল এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি আস্তিন গুটিয়ে নেমে পড়েছে রাজনীতির ময়দানে। শনিবার তমলুকের এক সভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এবারের ভোটে আর পুলিশ বা মস্তান দেখিয়ে লাভ হবে না। কারণ, এবারের ভোটে দিদির পুলিশের কোনও ভূমিকাই থাকবে না। পুরো নির্বাচন সামলাবে দাদার পুলিশই। ওই পুলিশ আসবে দিল্লি থেকে।’
দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়ে যায়। একটি অংশ মনে করছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের কোনও ভূমিকাই থাকবে না। দিলীপ ঘোষ হয়তো এদিন সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন। তবে অন্য একটি অংশ মনে করছে, লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তেমন ভূমিকা থাকে না। পুরোটাই নিয়ন্ত্রিত হয় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে। সে ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ বা প্রশাসন নিজে থেকে সক্রিয় কোনও ভূমিকা নিতে পারে না। তাদের কাজ করতে হয় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে। কোনও পুলিশ কর্তা বা প্রশাসনিক আধিকারিকের কাজ নিয়ে সংশয় তৈরি হলে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে পারে কমিশন। আর, রাজ্যের নির্বাচনে কমিশনের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনীই মোতায়েন করাটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই দিলীপ ঘোষের কথার মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই।
এদিন তমলুকে বিজেপির সাংগঠনিক সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখানে অনেকেই আমাকে বলেছেন, দাদা ভোট দিতে পারব কি? আমি বলেছি, অবশ্যই দেবেন। কী ভাবে ভোট করতে হয়, সেই ব্যাপারটা আমার ওপর ছেড়ে দিন। কারণ, এবার ভোটে তৃণমূল কোনও সন্ত্রাস করতে পারবে না। কারণ, দিদির পুলিশ নয়, দিল্লি থেকে দাদার পুলিশ এসেই নির্বাচন করাবে।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন সিএসআইএফ জওয়ানরা। তাঁদের দেখিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সারা রাজ্যে এইরকম জওয়ানরাই আসবে ভোট করাতে। তাই ভয় পাবেন না। নিজের ভোট নিজে দেবেন। নিশ্চিন্তে দেবেন। তৃণমূল এবার ক্ষমতা থেকে সরবেই।’ শুধু তাই নয়, তিনি এদিন এ কথাও বলেন, ‘দিদির ভাইয়েরা বুথের আশেপাশে এলে ওই জওয়ানরা প্রথমে ডান্ডার বাড়ি মারবে। তখন সেই দাগ নিয়ে তাদের বাড়ি ফিরতে হবে। তার পরও যদি আবার আসে, তখন তাদের ফিরতে হবে স্ট্রেচারে শুয়ে।’