প্রত্যয় ডেস্ক, পশ্চিমবঙ্গ, বিশেষ সংবাদদাতাঃ অতিসঙ্কটে উত্তম–যুগের অন্যতম সেরা অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রস্টেট ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে। সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছে মূত্রথলিতেও। সোমবার রাতে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বাংলার সাংস্কৃতিক মহলে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার অভিনেতার এমআরআই করা হয়। রিপোর্টে বড়সড় কোনও সমস্যা অবশ্য ধরা পড়েনি। করোনা সংক্রমণের মাত্রাও আশঙ্কাজনক ছিল না বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল। রাইলস টিউবের মাধ্যমে তাঁকে খাবার খাওয়ানো হচ্ছিল। হাসপাতালের তরফে বলা হয়, তাঁর তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব রয়েছে। তাঁর মধ্যে মানসিক অস্থিরতাও রয়েছে। মাঝে মাঝেই উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন। তবে রাতে আনন্দবাজার সূত্রে জানা যায় উদ্বেগের খবর। তাঁর শরীরে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। রাতেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ৬ অক্টোবর করোনা সংক্রমিত হওয়ার পরই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতার বেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তখনই তাঁকে দেখাশোনার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়।
প্রথম দিকে তাঁর অবস্থা খারাপ ছিল না। তার পর অভিনেতার শরীরে কিছুটা জটিলতা দেখা দিলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীলই ছিল। শুক্রবার রাতে আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১২ জন চিকিৎসককে নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি হয়। অভিনেতার কো–মর্বিডিটি থাকায় চিন্তায় ছিলেন চিকিৎসকরা। রবিবার দুপুরে অভিনেতার অবস্থা আরও অবনতি হলে চিকিৎসকরা অভিনেতার ফের প্লাজমা থেরাপি করার সিদ্ধান্ত নেন। তার পর তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয় বলে সোমবার সকালে জানা গিয়েছিল।