প্রত্যয় নিউজডেস্ক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাম সেমিস্টার ও আনুষঙ্গিক ফি জমা দেয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফি জমা দেয়ার সময় আইটি অফিস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নানা জটিলতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা জমা দিতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। ফলে তাদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নোমান বিল্লাহ বলেন, শিওর ক্যাশে আমাদের পরীক্ষা ও ভর্তি ফি জমা দেয়ার জন্য বিভাগের নোটিশ বোর্ডে যে নির্দিষ্ট সময় দেয়া হয়, ওই সময়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর অ্যাকটিভ পাওয়া যায় না। যে কারণে ৩, ৫ বা ৭ দিন পর্যন্ত টাকা জমা দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, এছাড়া ওয়েবসাইটে ‘স্টুডেন্ট আইডি’ অ্যাকটিভ পাওয়া গেলেও যাদের স্কলারশিপ আছে তাদের ফি অন্যান্য শিক্ষার্থীর মত দেখায়। যে কারণে আমরা অনেকবার অফিসে দৌড়াদৌড়ি ও হয়রানির পর টাকা জমার সুযোগ পাই। আবার কখনো কখনো টাকা জমা দেয়ার সময় শেষ হওয়ার পর তা ঠিক করে। এ সমস্যায় বারবার পড়তে হয়।
ইসলাম স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এহসানুল হক সায়েম বলেন, আমাদের প্রতিটি সেমিস্টারে ভর্তি ও পরীক্ষার ফি জমা দেয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নানা ধরনের ভুলের কারণে ‘স্টুডেন্ট আইডি’ ডিঅ্যাক্টিভ দেখায়। পরে আইডি অ্যাক্টিভ করতে অফিস, প্রশাসনিক ভবনে দৌড়াদৌড়ি করা লাগে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর ফি জমা দিতে না পারায় জরিমানা গুনতে হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেক্টরের প্রধান উজ্জ্বল কুমার বলেন, মাঝে মাঝে আমাদের ওয়েবসাইট হোস্টিংয়ের সমস্যা হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা ফি জমা দিতে বিড়ম্বনায় পড়ে। বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়টা আমাদের দোষ না। বৃত্তির রিপোর্ট আমাদের কাছে আসলে আমরা শিক্ষার্থীদের আইডিতে গিয়ে সেমিস্টার ফি কমিয়ে দিই। মাঝে মাঝে বৃত্তির রিপোর্ট দেরিতে আসায় আমরা টাকার পরিমাণ কমাতে পারি না। যে কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার ফি জমা দিতে না পারায় জরিমানা গুনতে হয়। আমাদের ওয়েবসাইটের কাজ আশা করি ভবিষ্যতে সেমিস্টার ও পরিক্ষা ফি জমাদানে কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি আরও বলেন, কোনো শিক্ষার্থী সেমিস্টার ফি জমা দিতে বেশি সমস্যায় পড়লে তার একাডেমিক আইডি আমাকে দিলে আমি সাহায্য করব।