ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলামকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সন্ধায় পৌর শহরের বন্দর বাজার এলাকায় ।
লান্চিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বর্তমানে উপজেলা স¦াস্থ্য কমেপ্লপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এ ঘটনায় ঐ দিন রাতেই ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আহত সাদেকুল ইসলাম জানান, পৌর শহরের বন্দর বাজারে ব্যক্তিগত কাজে একটি দোকানের ভিতরে বসে ছিলাম। হঠাৎ করেই লেমন নামে এক যুবক এসে আমাকে আমার শার্টের কলার ধরে টেনে হেচঁড়ে বের করে। স্থানীয়রা আমাকে বাচাঁতে এগিয়ে এলে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে লেমন তাদের সরিয়ে দেয়। এই সাদেকুল আমার মামলার স্বাক্ষী তাকে স্বাক্ষী হওয়ার স্বাদ আজ আমি মিটাবো।
সাদেকুল জানান, সে-আমাকে এলোপাথারি পেটাতে শুরু করে। আমি যেন কাউকে ফোন না দিতে পারি এ জন্য আমার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে আমার অফিস স্টাফ ও পরিবারের লোকজন এসে আমাকে উদ্বার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাকে উদ্বারের সময় লেমনের হাতে কৃষি অফিসের নয়ন নামে এক পরিচ্ছন্নতা কর্মি আহত হয়েছে। সেও বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।সাদেকুল আরো জানান, উক্ত লেমন এরপূর্বে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে মারপিট করায় ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। ওই মামলায় আমি স্বাক্ষী হওয়ার কারণে সে আমাকে মারপিট করে।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই সড়কে সাইড নেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায়কে মারপিট করা হয়। পৌর শহরের ভান্ডারা গ্রামের মৃত আম্বর হাজ্বীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫) ও একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে লেমন হোসেন (৩২)। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলার আসামী দুজন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এই উপজেলার খাদ্য শস্য ব্যাপক হারে উৎপাদনের জন্য দিনরাত কাজ করছি। অথচ সেই উপজেলার কতিপয় মানুষের হাতেই এভাবে একের পর এক কর্মকর্তা যদি মারপিটের শিকার হয়, তাহলে তো চাকুরী করাই দুস্কর হয়ে পড়বে।
রানীশংকৈল থানার ওসি(তদন্ত) আব্দুল লতিফ সোমবার জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, আমার পরিষদের কর্মকর্তাদের এভাবে মারপিট করা হবে,এটা মেনে নেওয়া যায় না। যারা বার বার এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।