1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ঠাকুরগাঁওয়ে আমন ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমনে কৃষক দিশেহারা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩৩৩ Time View

প্রত্যয় ডেস্ক, বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে আমন ক্ষেতে ব্যাপক হারে বাদামী ঘাস ফড়িং তথা কারেন্ট পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। একাধিকবার বিষ প্রয়োগ করেও পোকা নিয়ন্ত্রনে আনা যাচ্ছে না। অনেকে ধান কেটে ফেললেও আশানুরুপ ফলন না পাচ্ছেন না। এতে করে এ বছর আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা বিঘ্নিত  হওয়ার আশংকা রয়েছে।

চলতি বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়। এর মধ্যে দেশীয় উদ্ভাবিত স্বল্প জীবন কালের ধান বিনা-৭, ব্রি ধান ৩৩ ও বিভিন্ন প্রকার উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে মোট আবাদের শতকরা ১০ ভাগ। অবশিষ্ট জমির ধান দেশীয় জাতের ধান।
এ বছর মওসুম জুড়ে বৃষ্টিপাত থাকায় আমনের বাম্পার ফলন হওয়ার কথা। কিন্তু ঘনঘন বৃষ্টিপাতের কারণে স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়ায় আমন ক্ষেতে ব্যাপক হারে বাদামী ঘাস ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কৃষকরা পোকার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে একাধিকবার বিভিন্ন কোম্পানীর ওষুধ প্রয়োগ করে চলেছেন। বিঘাপ্রতি ২ হাজার টাকা ব্যয় হলেও তেমন কোন কাজে আসছে না বলে জানান চাষীরা। এ অবস্থায় অনেকে জমির ধান কেটে ফেলছেন। কিন্তু তাতে আশানুরুপ ফলন মিলছে না। এক বিঘা জমিতে স্বাভাবিকভাবে ২৫-৩০ মন ধান ফলনের কথা থাকলেও এবার পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ মন। এতে চাষীরা লোকসান গুনছেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চতুরাখোর পাঠানপাড়া গ্রামের কৃষক হায়দার বলেন,আমি ১০ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। কিন্তু কারেন্ট পোকার কারণে অসময়ে ধান কেটে ফেলতে হচ্ছে। এতে আশানুরুপ ধান পাচ্ছি না। অন্য বছর যেখানে পেতাম বিঘায় ৩০ মন। এবার পাচ্ছি মাত্র ১০ মন।
আখানগর গ্রামের আবুল হোসেন নামে একজন চাষী বলেন, আমি ৩ একর জমিতে ধান লাগাই।প্রথমদিন দেখি এক বিঘা জমির একটি কোণায় কারেন্ট পোকা। পরদিন গিয়ে দেখি অর্ধেক জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে। কারেন্ট পোকা ধান গাছের ডগা হতে রস শুষে নিয়ে গাছপালা খড়ে পরিনত করে ফেলে।

ঝাপড়তলি গ্রামের কৃষক তাপস চন্দ্র রায় বলেন, এ বছর কয়েক দফা কারেন্ট পোকার আক্রমন দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে অসময়ে ধান কেটে দিতে হয়েছে।
মন্ডলাদাম গ্রামের কৃষক কাইমুল ইসলাম বলেন,  কারেন্ট পোকা দমনে প্রতি বিঘায় কমপক্ষে ২ হাজার টাকার ওষুধ স্প্রে করেছি। তারপরও পোকা দমন করা যাচ্ছে না। কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের মাঠে পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

১২ নং সালন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম মুকুল বলেন, কারেন্ট পোকার আক্রমনে তার ইউনিয়নের এমন কোন জমি নেই যে, যেখানে আক্রান্ত হয়নি। এ অবস্থায় এবার আমন ধান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা চরমভাবে বিঘ্নিত হবে।

এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: আফতাব হোসেন ঠাকুরগাঁও জেলায় আমন ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমনের কথা স্বীকার করে বলেন, ইতোমধ্যে ১০ হেক্টর জমিতে কারেন্ট পোকা আক্রমনের তথ্য আমরা পেয়েছি। এ অবস্থায় বাদামী গাছ ফড়িং পোকা সনাক্ত করতে মাঠ পর্যয়ে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরন করা হচ্ছে। এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তারা সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত হাট বাজারে সর্বত্র উঠান বেঠকের মাধ্যমে কৃষকদের এই পোকা দমনে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।এতে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..