কানাডায় বিদেশফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দর সংলগ্ন হোটেলে তিনদিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে কবে থেকে এই কোয়ারেন্টাইন শুরু হবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
এদিকে, দেশটির ফেডারেল পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাবরা আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কোয়ারেন্টাইন শুরুর সব প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
গত রোববার (৩১ জানুয়ারি) সিবিসি টেলিভিশনের ‘রোজম্যারি বার্টন লাইভ’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এই কথা বলেন। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে কোভিড টেস্ট এবং কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি কিভাবে বাস্তবায়িত হবে সেটি দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ দেখভাল করছে। তারা এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে।
কানাডার ফেডারেল পরিবহনমন্ত্রী বলেন, কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্তটি কবে থেকে কার্যকর হবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে আমার পক্ষে বলা কঠিন। কারণ এটি ঠিক করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে আমি যেকোনো মুহূর্তের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেবো।
করোনার নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণ রোধ করতে ফেডারেল সরকার টরন্টো, মন্ট্রিয়ল, ভ্যাঙ্কুভার এবং ক্যালগেরি- এই চার বিমানবন্দরকে সব আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট করতে হবে এবং ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সরকারের নির্দিষ্ট করে দেয়া হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকতে জনপ্রতি দুই হাজার ডলারের বেশি ব্যয় হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই ব্যয় যাত্রীদের নিজেদের বহন করতে হবে।
ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রোজম্যারি বার্টনের প্রশ্নের জবাবে পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাবরা বলেন, আন্তর্জাতিক পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট করা চারটি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে কোভিড টেস্ট হবে এবং ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত অন্তত তিন দিন হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
তিনি জানান, যাত্রীরা যে বিমানবন্দরে নামবেন সেই বিমানবন্দর সংলগ্ন হোটেলেই অবস্থান করতে হবে। পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে তিনি নিজ গন্তব্যে চলে যেতে পারবেন। তবে তাদের সুনির্দিষ্ট কোয়ারেন্টাইন পরিকল্পনা থাকতে হবে। কোভিড টেস্টের ফলাফল পজিটিভ হলে নিজ খরচে হোটেলেই থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যদিও সরকার কঠোরভাবে করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে। কানাডায় সরকারের দিকনির্দেশনার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক কর্মসূচিতে নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেয়াও শুরু হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮৯ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২০ হাজার ১৩৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১১ হাজার ৭০৮ জন।