1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে টালিগঞ্জের প্রথম সারির তারকারা, চর্চা তুঙ্গে

  • Update Time : সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২৫৬ Time View

বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা : কে ছিলেন না কলকাতার বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলের বৈঠকে? বর্তমান বাংলা সিনেমার প্রথম সারির প্রায় সব শিল্পীই হাজির হয়েছিলেন এদিন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের সঙ্গে সেই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে আবির চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ থেকে মমতাশঙ্কর, সকলেই। ছিলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিল্পীরাও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও ছিলেন। তার পরই বাংলার রাজনীতিতে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে, এই টলি তারকারাও কি তা হলে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন? তা হলে কি দশ বছর ধরে চলা শাসক দল তৃণমূলের প্রভাব ও প্রতাপ থেকে টালিগঞ্জ বেরিয়ে আসতে চলেছে? অবশ্য উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে চর্চা অব্যাহত।

দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও বেলুর মঠ যে বাঙালির আবেগের একটি জায়গা, তা নিয়ে বিতর্ক নেই। সেই দক্ষিণেশ্বর এবার পৌঁছনো যাবে মেট্রোয়। দক্ষিণে কবি সুভষ থেকে উত্তরে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো যাবে। সোমবার পশ্চিমবাংলা সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতার ডানলপে তাঁর জনসভা ছিল। সেখান থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রোপথের সূচনা করেন তিনি। এতদিন কবি সুভাষ থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করত। আর পূর্ব কলকাতায় চলাচল করছে ফুলবাগান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো এবং গঙ্গার নীচে দিয়ে বালি পর্যন্ত মেট্রোপথ নির্মাণের।

স্বভাবতই এদিন বাঙালির চোখ ছিল দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো সূচনার। সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পরই চমক দিল কেন্দ্রীয় সরকার। টালিগঞ্জের একঝাঁক অভিনেতা ও অভিনেত্রী যে ভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য ছুটে গেলেন, তা চমকপ্রদ বইকি! ঘটনা হল, এদিন সেই বৈঠকের পরই ভারতীয় সিনেমার সেরা পুরস্কার হিসেবে পরিচিত ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কারের মতো জাতীয় স্তরে আরও একটি পুরস্কারের কথা ঘোষণা করল ভারত সরকার। পুরস্কারটি সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত। এদিন কলকাতায় নিউ আলিপুর চত্বরের বিলাসবহুল একটি পাঁচতারা হোটেলে দ্য ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এনএফডিসি–র অনুষ্ঠানে এ কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।

এদিন বিকেল থেকেই কলকাতার ওই হোটেলে বাংলার প্রথম সারির তারকারা উপস্থিত হতে শুরু করেন। সেই সময় যাঁরা উপস্থিত হতে পারেন, তাঁদের একটি তালিকাও পাওয়া যায়। তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁরা হলেন, মমতাশঙ্কর, গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, অনীক দত্ত, সঞ্জয় নাগ, মহেন্দ্র সোনি, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পাওলি দাম, তনুশ্রী চক্রবর্তী–সহ কার্যত গোটা টলিউডই। সন্ধেয় হোটেলে হাজির হতে দেখা যায় মমতাশঙ্কর, ঋতুপর্ণা, আবির, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পাওলি, তনুশ্রী, চূর্ণী, প্রিয়া সিনেমা হলের কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত, প্রযোজক মহেন্দ্র সোনি, নিশপাল সিং রানে, পরিচালক অনীক দত্ত, ওস্তাদ রশিদ খান, অরিন্দম শীলদের। যে শিল্পীরা ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা সকলেই এদিন হাজির ছিলেন। অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, যশ দাশগুপ্ত, হিরণ যেমন ছিলেন, এমনকী, তথাকথিত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ তারকাদের অনেকেও এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন। ছিলেন শঙ্কুদেব পাণ্ডা, স্বপন দাশগুপ্ত।

সেই সময় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিজেপিতে যোগ দিতে এখানে আসিনি। এসেছি শিল্পী হিসেবে সিনেমার জন্যই।’ এর আগে অভিনেতা প্রসেনজিতের সঙ্গে বিজেপির তাত্ত্বিক নেতা অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় দেখা করে নিজের লেখা বই উপহার দিলে জল্পনা তৈরি হয়। অবশ্য পরে প্রসেনজিত সাংবাদিকদের জানান, তাঁর সঙ্গে রাজনীতির মানুষের যোগাযোগ নেই, তা নয়। তবে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম ছিল প্রসেনজিতেরও। তবে এদিন রাত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কোনও সাংবাদিকই যোগাযোগ করতে পারেননি। আবার সোমবার বিকেলেই পরিচালক ও অভিনেতা অরিন্দম শীলের বাড়ি গিয়ে বিতর্ক উস্কে দেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। পরে অরিন্দমের সঙ্গে নিজের ছবি টুইট করেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, ‘আজ বিকেলে অরিন্দমদার সঙ্গে চায়ে পে চর্চা। আলোচনা হল সোনার বাংলা নিয়েও।’

যদিও সাংবাদিকদের বারবার অরিন্দম বলে এসেছেন, তিনি রাজনীতিতে নেই। কাজ নিয়েই থাকতে চান। পরে অবশ্য শঙ্কু ওই সাক্ষাৎ নিয়ে কথা পরিবর্তন করেন। বলেন, ‘অরিন্দমদার কাছে এমনিই চা খেতে গিয়েছিলাম। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’ এর পর সন্ধেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অরিন্দম শীলের যোগ দেওয়া জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, সিনেমা সংক্রান্ত আলোচনার জন্যই এই সমাবেশ। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যই মিঠুন চক্রবর্তী, অরিন্দম শীল, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করা হয়েছিল। এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক গন্ধ না খোঁজাই ভালো।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও বলেছেন, ‘এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। এটা সরকারি অনুষ্ঠান।’ তবে জল্পনা কিন্তু থামেনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..