1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

পিকে হালদারকে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে দুদক

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১
  • ২৬২ Time View
পিকে হালদার। ফাইল ছবি

প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারী পিকে হালদার (প্রশান্ত কুমার হালদার) বিদেশে পালিয়ে গেছেন। দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চিঠি পৌঁছানোর আগেই পিকে হালদার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে আদালতে তথ্য দেয় এসবির ইমিগ্রেশন শাখা।

বৃহস্পতিবার পিকে হালদারকাণ্ডে জড়িত আনান কেমিকেল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন, বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত চিঠি ১৩ ঘণ্টা পর ইমিগ্রেশনে পাঠিয়ে পিকে হালদারকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে দুদক।

শুনানিকালে আদালত ইন্টারনেটের যুগে চিঠি পাঠাতে এত সময় ব্যয় হওয়ার কড়া সমালোচনাও করেন।শুনানিতে আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।

আরও পড়ুন৩০ বছরের ছোট প্রেমিকার সঙ্গে পঞ্চম বিয়ে সারলেন নিকোলাস

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পিকে হালদার বেনাপোল দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে কানাডায় বিলাসী জীবন যাপন করছেন পিকে হালদার।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছিলেন পিকে হালদারের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে। তখন আদালত জানতে চান পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও তিনি কীভাবে পালিয়ে যান। একইসঙ্গে পিকে হালদার যেদিন দেশ ত্যাগ করেছিলেন, সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন তার তালিকাও দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।

পরে গত ১ মার্চ ইমিগ্রেশন পুলিশ হাইকোর্টকে জানায়, যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে দেশত্যাগ করেছেন পিকে হালদার। ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর পিকে হালদার যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন- দুদক সেই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশেষ শাখার (এসবি) সদর দপ্তরকে চিঠি দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানানোর জন্য। এসবি সদর দপ্তর দুদকের ওই চিঠি হাতে পায় ২৩ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪টায়। ওইদিন বিকাল ৫টা ৪৭ মিনিটে ইমিগ্রেশন পুলিশের সব শাখায় চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে চিঠি পাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগেই পিকে হালদার বেনাপোল দিয়ে দেশত্যাগ করেন।

আরও পড়ুনপুলিশকে ঘুসের প্রস্তাব দেয়ায় ২ বাংলাদেশির জেল

প্রসঙ্গত, প্রায় দেড়শ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা তদন্তে রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আর্থিক খাত থেকে আত্মীয়স্বজন চক্রের মাধ্যমে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার কারিগর পিকে হালদারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অফিসিয়াল তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। দুদক ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে।

এ ছাড়া দুদকের ক্যাসিনো দুর্নীতির মামলায় চার্জশিট তালিকায় লিজিং কোম্পানি ও আর্থিক খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারে জড়িত পিকে হালদারের নামও রয়েছে। ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতায় তার বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা লোপাট করে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান বলে গত বছরের শুরুতে খবর আসে। এর পর আইএলএফএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে তাকে অপসারণের পাশাপাশি তার সম্পত্তি জব্দ করা হয়।

পিকে হালদার পালিয়ে যাওয়ার পরই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে মামলা করে।

আরও পড়ুনএ বছরই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতন, হুঙ্কার আমানের

দুদকের এ মামলার মুখে নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করে আইএলএফএসএল জানায়, আত্মসাৎ করা অর্থফেরত দিতে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আদালতের আশ্রয়ে পিকে হালদার দেশে ফিরতে চাইছেন। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড (আইএলএফএসএল)।

এ আবেদন গ্রহণ করে ২১ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  আদেশে আদালত বলেন, পিকে হালদার বিমান থেকে দেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।  তিনি যাতে ‘নিরাপদে’ দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, সে জন্য পুলিশ প্রধান, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন আদালত।

কিন্তু ২৪ অক্টোবর জানা গেল পিকে হালদার দেশে ফিরছেন না। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) আইনজীবী ই-মেইল করে অ্যাটর্নি জেনারেলেরে কার্যালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে পিকে হালদারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তার আইনজীবীরা।

পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তায় আবেদন করে দুদক। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে করা সব মামলার নথি চায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।

এরপর গত ২ ডিসেম্বর পিকে হালদারকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের জন্য পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত।

পরে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, পিকে হালদারকে গ্রেফতারে রেডঅ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।সূত্র : যুগান্তর

আরও পড়ুনপুলিশকে ঘুসের প্রস্তাব দেয়ায় ২ বাংলাদেশির জেল

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..