1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

বৃটেনে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য অভিবাসন আইন ঢেলে সাজানো হচ্ছে: প্রীতি প্যাটেল

  • Update Time : বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১
  • ৬৩৭ Time View

প্রত্যয় ওয়েব ডেস্ক : বৃটেনে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য আইন ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। তিনি বলেছেন, এর ফলে বৃটেনে যারা অবৈধ উপায়ে প্রবেশ করবেন এবং আশ্রয় চাইবেন তাদের অবস্থান এবং বৈধভাবে অবস্থানকারীদের মর্যাদা এক হবে না। বৈধভাবে অবস্থানকারীদের জন্য আরো সুসংবাদ দিয়েছেন প্রীতি প্যাটেল। তিনি বলেছেন, যারা বৈধভাবে বৃটেনে যাবেন, সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে সেখানে অনির্দিষ্টকাল থাকার অধিকার দেয়া হবে। অবৈধ উপায়ে বৃটেনে গেলে তাদের জন্য সেখানে থাকাটা খুবই কঠিন হয়ে যাবে। সরকারের এমন পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে বিরোধী লেবার দল। তারা বলেছে, আশ্রয় প্রার্থীদের বিষয়ে সরকারের সহিষ্ণুতা এবং সহানুভূতিতে ঘাটতি আছে। অন্যদিকে শরণার্থী গ্রুপগুলো এমন প্রস্তাবকে অন্যায্য এবং বাস্তবসম্মত নয় বলে অভিহিত করেছে।

এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

অভিবাসন বিষয়ক নতুন পরিকল্পনা সম্পর্কে পরে বিস্তারিত জানানোর কথা রয়েছে মিস প্রীতি প্যাটেলের। তার এই উদ্যোগকে সরকার বহু দশকের মধ্যে বৃটেনে আশ্রয় প্রার্থী ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় সংস্কার বা ঢেলে সাজানো বলে অভিহিত করেছে। ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে বৃটেনে আশ্রয়প্রার্থনা করেছেন ৩৫ হাজার ৯৯ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ইরান, আলবেনিয়া এবং ইরাকিদের পক্ষ থেকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি বলেছেন, প্রথমবারের মতো এটা আমলে নেয়া হবে যে, আশ্রয়প্রার্থী বৃটেনে অবৈধভাবে প্রবেশ করার সময় অন্য একটি নিরাপদ দেশ, যেমন ফ্রান্স- এমন কোনো দেশ হয়ে প্রবেশ করেছেন কিনা। ফলে আশ্রয়প্রার্থীর আবেদনের ওপর এর একটা প্রভাব পড়বে। এক্ষেত্রে যাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান হবে, তাদেরকে দ্রুত বৃটেন থেকে বের করে দেয়ার উপায় খোঁজা হচ্ছে। এ জন্য আপিল প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে সংস্কার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনমিঠুন চক্রবর্তীকে বাদ দিয়েই বিজেপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা

প্রীতি প্যাটেল বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধ উপায়ে বৃটেনে যান তাহলে তিনি সেখানে বৈধভাবে যাওয়া ব্যক্তিদের মতো একই অবস্থান আর আশা করতে পারবেন না। তাদের জন্য বৃটেনে অবস্থান করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। কিন্তু যেসব মানুষ নিষ্পেষণ অথবা সহিংসতার শিকারে পরিণত হয়ে, যেমন সিরিয়া ও ইরানের মতো দেশ থেকে- বৈধ উপায়ে যদি বৃটেনে যেয়ে থাকেন, তাহলে তারা অনির্দিষ্টকাল বৃটেনে অবস্থান করতে পারবেন। বর্তমানে নিয়মে শরণার্থী হিসেবে মর্যাদা পেয়েছেন এমন ব্যক্তিদের এ জন্য আবেদন করতে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু নতুন পরিকল্পনায় কেউ যদি অপরাধী চক্রকে অর্থ দিয়ে বৃটেন গিয়ে থাকেন তাহলে হয়তো তারা অস্থায়ী সময় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার অনুমতি পাবেন। নিয়মিত মূল্যায়ন করে তাদেরকে বৃটেন থেকে বের করে দেয়া হবে।

বিবিসির হোম অ্যান্ড লিগ্যাল বিষয়ক প্রতিনিধি ডমিনিক ক্যাসসিয়ানি বলেছেন, সরকারের এই উদ্যোগ কতটা কাজে আসবে তা পরিষ্কার নয়। কারণ, বৃটেন এখন আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোনো স্কিমের মধ্যে নেই যে আশ্রয়প্রার্থনা করে কেউ ব্যর্থ হলে তাকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দেবে।

প্রীতি প্যাটেল আরো বলেন, আশ্রয় প্রার্থী কারো যদি কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকে এবং এ জন্য তাকে বৃটেন থেকে বের করে দেয়া হয়ে থাকে, সে বা তিনি আবার বৃটেনে ফিরে গেলে তাকে ৫ বছরের জেল দেয়া হবে। বর্তমানে এই সাজার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৬ মাস। তিনি সতর্ক করে বলেন, এক্ষেত্রে যারা মানব পাচার করবে তাদেরকে দেয়া হবে যাবজ্জীবন জেল।

আরও পড়ুনত্রুটিপূর্ণ শিশি : হংকং ও ম্যাকাওতে ফাইজারের ভ্যাকসিন স্থগিত

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..