পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনকে ঘিরে শীতলকুচিতে গুলির ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ভারতের ওই রাজ্য বিজেপির সম্পাদক সায়ন্তন বসু। বিজেপির নির্দেশেই শীতলকুচিতে গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘১ জনকে মারলে শীতলকুচির মতো আরও ৪ জনকে মারা হবে।’
সোমবার জলপাইগুড়ির এক পথসভায় সায়ন্তন এই মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যের পর বিতর্ক তৈরি হতে সময় লাগেনি।
তৃণমূলের দাবি, শীতলকুচি নিয়ে তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই স্বীকার করে নিয়েছেন সায়ন্তন।
সোমবার জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের দুরামারিতে পথসভায় সায়ন্তন বলেন, ‘পরিষ্কার ভাষায় আমি সায়ন্তন বসু বলছি, খেলা যদি খেলতে চাও, তবে শীতলকুচির খেলাই খেলব। সকালে ১৮ বছর বয়সী আনন্দ বর্মণকে মেরেছিলে। বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। ৬ ঘণ্টার মধ্যেই ৪ জনকে বেহেস্তের রাস্তা দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। শোলে সিনেমার একটা ডায়ালগ ছিল জানেন তো, ‘১ মারোগে তো ৪ মারেঙ্গে’। শীতলকুচিতে তাই হয়েছে।’
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, সায়ন্তনের এই মন্তব্য নিয়ে সেখানকার রাজনৈতিক মহলে চাপানউতর শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিংহ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দাবি করেছিলেন, আসলে তা যে সত্যি, নিজের মুখে তা স্বীকার করে নিলেন সায়ন্তন বসু। আমাদের দাবিকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি। এর থেকে পরিষ্কার যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করছে বিজেপি।’
গত শনিবার চতুর্থ দফায় শীতলকুচিতে ভোটগ্রহণের সময় ২টি আলাদা বুথে মোট ৫ জন নিহত হয়। আনন্দ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হন একসঙ্গে ৪ জন। ওই গুলির পর একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, সায়ন্তন বুক লক্ষ্য করে গুলি চালানোর কথা বলছেন।
ওই ভিডিও নিয়ে বিতর্কের মাঝে সায়ন্তনের দাবি ছিল, ওই ৪ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।