অন্টারিও প্রদেশে ৩৬ জনের ইন্ডিয়া ভেরিয়েন্ট শনাক্ত নিশ্চিত হওয়ায় প্রদেশের প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড আরো কঠোরভাবে সীমান্ত বিধিনিষেধের আহ্বান জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যদিও ফেডারেল সরকার এই সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তান থেকে যাত্রীদের বিমান স্থগিত করেছে, কিন্তু এটাও পর্যাপ্ত নয়, অবিলম্বে কানাডায় সমস্ত অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বন্ধ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
এক বিবৃতিতে ফোর্ড বলেন, এটি ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ যে অন্টারিওতে বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়্যানট শনাক্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য পূর্ববর্তী আহ্বানগুলিতে আরও কঠোর সীমান্ত বিধিনিষেধের জন্য বলা হয়েছিল।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা বিশ্বের অন্যান্য স্থান থেকে যে চিত্রগুলি দেখছি তা হৃদয় বিদারক। এই মারাত্মক নতুন রূপগুলি ভারত এবং অন্যান্য দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে আমরা এখানে এটি হতে দিতে পারি না। সম্প্রতি, ভারত ও পাকিস্তানে কোভিড -১৯ শনাক্তের হার বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার, ফেডারেল সরকার এক মাসের জন্য ভারত ও পাকিস্তান থেকে আগত সমস্ত বাণিজ্যিক এবং বেসরকারি যাত্রী বিমানগুলি স্থগিত করেছে। নতুন বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়্যনট এই সপ্তাহের শুরুতে ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং কিউবেকে শনাক্ত করা হয়েছিল। অন্টারিওতে প্রথম শনাক্তের বিষয়টি গতকাল নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে কানাডায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তরুণদের সতর্ক করে বলেছেন, নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট কানাডাকে আবৃত করে ফেলতে যাচ্ছে। এটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং আক্রান্ত তরুণদের আইসিইউর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বর্তমানে অধিক সংক্রমক ভ্যারিয়েন্ট প্রাধান্য বিস্তার করছে। আপনি যদি তরুণও হন তাহলেও আপনি দ্রুত অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। অথবা আপনার মাধ্যমে এটি আপনার প্রিয়জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং দ্রুত তারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম শুক্রবার বলেন, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টটি এই মুহূর্তে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। গত সপ্তাহে নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি দাঁড়িয়েছে।
ডা. থেরেসা ট্যাম বলেন, গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ৭ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে আইসিইউতে রোগী ভর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩ শতাংশ।
অন্যদিকে কানাডায় প্রবেশ ও দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণকে নতুন করে সীমিত করার কথা ভাবছে সরকার। মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি অব্যাহত থাকায় এ উদ্যোগের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এর মধ্যেও আশার কথা হলো ভ্যাকসিনেশনে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে কানাডা।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ হাজার ৯শ’ ২৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৬১ হাজার ৭শত ৬ জন।