আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় বোস্টনের কপলি স্কোয়ার ও ইসরায়েল দূতাবাসের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বোস্টনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ হার্ভার্ড ফিলিস্তিন সোলিডারিটি কমিটি, ফিলিস্তিন অ্যাডভোকেসি প্রজেক্ট, আলজেরিয়ান আমেরিকান স্টুডেন্টস অব নিউ ইংল্যান্ড, ন্যাশনাল ফিলিস্তিন ইয়ুথ ইউনিয়ন, ডেমোক্রেটিক স্যোসালিস্ট অব আমেরিকা, ফিলিস্তিন কমিউনিটি অব বোস্টন ও ফিলিস্তিন হাউস অব নিউ ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়।
বোস্টনের শ্রমিক সংগঠন ডেমোক্রেটিক স্যোসালিস্ট অব আমেরিকার কো-চেয়ারম্যান প্রবাসী বাংলাদেশি মুনিম খান জানান, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে শনিবার বোস্টনে অনুষ্ঠিত উক্ত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বেশকিছু প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা অংশগ্রহণ করে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।
পূর্ব জেরুজালেমের পশ্চিমতীরের প্রাচীন একটি ছোট্ট বসতি শহর শেখ জারাহ। সম্প্রতি সেখানে বসবাসরত আট ফিলিস্তিনি পরিবারকে উৎখাত করে ইহুদি বসতি গড়ার চেষ্টা করে ইসরায়েলি বাহিনী। এই অবৈধ দখলদারিত্ব রুখতে গিয়ে চলতি সপ্তাহে শেখ জারাহ হতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ফিলিস্তিনি অধিবাসীরা। ওই বসতি থেকে পরে পুরো ফিলিস্তিন জুড়ে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ফিলিস্তিনি এই প্রতিরোধ আন্দোলনকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন অভ্যুত্থান বলে অভিহিত করেছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ হামলা মানবতার বিরুদ্ধে। গোটা বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে ক্লান্ত তখন অবৈধ দখলদার ইসরায়েল পবিত্র রমজানের মধ্যে আবারও দানবীয় রূপে আবির্ভূত হয়েছে। পবিত্র রমজানে মুসলিমরা যখন ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল তখনই অশুভ ইহুদিবাদী শক্তি জঘন্য নারকীয় হামলা চালায়।
বক্তারা বলেন, ইফতার ও নামাজ পড়া অবস্থায় আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ঢুকে ইসরায়েলি পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস এবং নির্বিচারে রাবার বুলেট ছুড়ে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনিকে আহত করে। পুরো রমজান মাসজুড়ে পুলিশের বাড়াবাড়ি ছিল চরমে। নিরবচ্ছিন্ন দখলদারীর মধ্যেই নতুন করে আদালতের মাধ্যমে কয়েকটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে উৎখাতের বিতর্কিত তৎপরতা শুরু করে ইসরায়েল।