সংবাদকর্মী, ভোলা: আজ থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে সারা বিশ্বে, আজ আর নিজেদের স্বার্থের যুদ্ধ নেই আজ বড় যুদ্ধ করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
বিশ্বের অন্য রাষ্ট্রের তুলনায় বাংলাদেশ ঘনবসতি সবচেয়ে বেশি।
এই মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরছে বাংলাদেশে ও, প্রতিদিনই মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং পাল্লা ভারি হচ্ছে মৃত্যুর ।
বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ১৭ জন মৃত্যু বরণ করেছেন আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন (সুত্র যমুনা টিভি)।
আর এই করোনাভাইরাসে আজ মানুষ অজানা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে আর আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন হে আমার পালনকর্তা এমন মৃত্যু দিও না, যে মৃত্যু স্বজনরা ও দাফনে অংশগ্রহণ করবে না।
মৃত্যুর পর পুরো বাড়ী, মহল্লা লকডাউন হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভাইরাস একটি ছোঁয়াছে রোগ তাই সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে হবে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, বেশি মানুষের সাথে মেশা যাবে না কমপক্ষে তিন ফুট দুরে অবস্থান করতে হবে।
সরকার এই ধরনের সচেতনতা মেনে চলার জন্য সরকারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে এবং জনসাধারণ কে বাসায় অবস্থান করার অনুরোধ করেছেন কিন্তু উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা সরকারী নির্দেশ এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দেওয়া নিয়ম মেনে চললেও নিম্ম আয়ের মানুষরা মানছেন না, তাঁরা জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হচ্ছেন ব্যবহার করছেন না মাস্ক তোয়াক্কা করছেন না সামাজিক দূরুত্ব।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে রাস্তায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মানুষ কে সচেতন করতে কিন্তু করোনাভাইরাস যে কতটা ভয়াবহ এই বিষয়টি আমরা এখনো মানতে নারাজ।
সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক হটলাইন নাম্বার দিয়েছেন আপনারা বাসায় থাকুন প্রয়োজনে আমাদের জানান আমরা আপনার প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিবো এবং প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সাংসদ, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে নিম্ম আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
অনেকে বলছেন জীবিকার তাগিদে মানুষ রাস্তায় বের হয়, তারা বুঝতে চায়না আল্লাহ না করুক এই মহামারি করোনাভাইরাস একবার শরীরে প্রবেশ করলে নিজের অবস্থা এবং পরিবার ও পুরো মহল্লার অবস্থা কি হবে? পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক,সেচ্ছাসেবীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের সর্তক করছে, কেনো করছে? তারা জানে এই করোনাভাইরাস যে কতটা ভয়াবহ।
আজ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোতে ইবাদত করার জন্য মাপকাঠি চলে এসেছে, মুসলমানদের ইবাদত এর দিন পবিত্র শবে বরাত এর নামাজ নিজ নিজ বাসায় আদায় করার অনুরোধ করছে সরকার এবং জুম্মা নামাজে ১০ জন অন্য নামাজে ইমাম মুয়াজ্জিনসহ ৫জন আদায় করতে পারবেন।
আসুন এখনো সময় আছে সচেতন হয়, নিজে সুস্থ থাকি এবং পরিবারের সদস্যদের সুস্থ রাখার চেষ্টা করি, আতংকিত না হয়ে সচেতন হই।
এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..