ওয়েব ডেস্ক: সারা বিশ্বে পর্যটন দেশ হিসেবে পরিচিত থাইল্যান্ড। দেশটির অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখে পর্যটন শিল্প। করোনার কারণে মার্চ মাসে বন্ধ করে দেয়া হয় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পর্যটকদের আগমন। গত ১৫ মাসে যারা এসেছে তাদের থাকতে হয়েছে নিজ খরচে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে। তাই অনেকের ইচ্ছে থাকার পরও ভ্রমণে যেতে পারেনি দেশটিতে।
কোয়ারেন্টাইনের সে ঝামেলা থেকে আজ ১ জুলাই মুক্তি পেল বিশ্বের কম করোনা ঝুঁকির ৬৬ দেশের নাগরিকরা। এ সকল দেশের নাগরিকরা সহজ শর্তে আসতে পারবে থাইল্যান্ডে। তাদের দেয়া হবে লং-টার্ম ভিসা।
তবে থাইল্যান্ড আসার ক্ষেত্রে থাকছে কিছু নিয়ম কানুন। আপনাকে অবশ্যই করোনার ভ্যাকসিন নেয়ে থাকতে হবে। ফ্লাই করার ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হবে। থাইল্যান্ড আসার পর আপনাকে প্রথম ১৪ দিন থাকতে হবে থাইল্যান্ড একটি দ্বীপ ফুকেটে কারণ এখানে অধিকাংশ জনগণের করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হয়ে গেছে। তবে সেখানে কোনো কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।
আপনি আপনার পছন্দ মতো হোটেলে থাকতে পারবেন ও চলাফেরায় থাকবে না কোনো বিধিনিষেধ। তবে শর্ত হচ্ছে ফুকেট দ্বীপের বাইরে আপনি যেতে পারবেন না।
১৪ দিন পার হলে একটি করোনা টেস্ট করে ফলাফল নেগেটিভ আসলে থাইল্যান্ডের যে কোনো জায়গায় আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন। এই প্রোগ্রামটির থাই সরকার নাম দিয়েছে ‘ফুকেট সেন্ডবক্স’
থাইল্যান্ডের অন্য অন্য প্রদেশের জনগণকে দ্রুত টিকার আওতায় এনে অক্টোবরের মধ্যে পুরো দেশটি খুলে দেয়ার লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছে থাইল্যান্ড সরকার।