ওয়েব ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর দেশটির মানবসম্পদ ও এমিরিটাইজেশন মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি সাইফ আল সুওয়াইদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শনিবার (২১ আগস্ট) দুবাইয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পারস্পরিক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। করোনা সংক্রান্ত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশে আটকে থাকা আরব আমিরাতের বাসিন্দাসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশটিতে ফেরার বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বিকাশের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় আমিরাতের আন্ডার সেক্রেটারি বাংলাদেশি শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও যোগ্যতার প্রশংসা করেছেন। গত সাড়ে চার দশকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের অসাধারণ অবদানের প্রশংসা করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি কর্মীদের করোনা সুরক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমিরাতকে ধন্যবাদ জানান। কাজের আগেই প্রশিক্ষণ ও ওরিয়েন্টেশনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। শ্রমিকদের অধিকার, কাজের অবস্থা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাষা ও সংস্কৃতির বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি নারী গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষায় বিশেষ জোর দেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের বিষয়ে প্রস্তাব করেন রাষ্ট্রদূত।
কর্মীদের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরব আমিরাতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা কর্মীদের ’দক্ষতা সার্টিফিকেশন’ চালুর প্রস্তাব দেন রাষ্ট্রদূত। তিনি আরও বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের চাকরির বাজার পুনরায় খোলার অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে যৌথ কমিটির (জেসি) প্রথম বৈঠক আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা জানান।
রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী মাসে যৌথ কমিটির সভার আশা করা হচ্ছে। আমিরাত টেকসই প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছে, যাতে অভিবাসনের সব কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়। যথা- শ্রমিকদের সঠিক প্রশিক্ষণ, স্বচ্ছ নির্বাচন, নিয়োগ প্রক্রিয়া, মজুরি সুরক্ষা, পরিষেবা সুবিধা এবং সব পক্ষের অধিকার (নিয়োগকর্তা, কর্মচারী, নিয়োগকারী এজেন্ট ও সরকার)। আসন্ন যৌথ কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়।
বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্ডার সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আলি রশিদ আলনুয়াইমি, যোগাযোগ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী উপসচিব ও মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নবনিযুক্ত কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন ও আবুধাবিতে দূতাবাসের উপ-প্রধান মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।