প্রবাস: অন্যান্য দেশের তুলনায় স্পেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার অনেকটাই কমে এসেছে। গত দুই সপ্তাহে দেশটিতে প্রতি এক লাখে ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা গত গ্রীষ্মের পর সর্বনিম্ন। যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইজরায়েল, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতির তুলনায় স্পেনে সংক্রমণের বর্তমান হার সবচেয়ে নিম্নমুখী।
মহামারির পঞ্চম ঢেউয়ে স্পেনে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এসেছিল অনেকটা সুনামির মতো। পরিস্থিতি যে এতটাই খারাপ হবে তা কেউই আশা করেনি। পঞ্চম ঢেউয়ের প্রথম দিকেই খুব দ্রুত রেড জোনের আওতায় চলে এসেছিল স্পেন। গত জুলাইয়ের শেষের দিকে ও আগস্টের শুরুতে দুই সপ্তাহে সংক্রমণের হার ছিল প্রতি লাখে ৭০০ জন।
সংক্রমণের দ্রুত বৃদ্ধির প্রবণতা স্পেন সফল ও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করেছে। যার ফল হিসেবে গত কয়েক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি লাখে ৯২ জনে নেমে এসেছে।
বর্তমানে ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের হার গত দুই সপ্তাহে প্রতি লাখে ৭০০ জন করে। এছাড়া স্পেনের অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র জার্মান, ইতালিও কার্যকরভাবে আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে এনেছে। যদিও তুলনামূলক হারে আক্রান্তের সংখ্যা স্পেনের চেয়ে বেশি।
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল স্পেন। সেখানে কীভাবে এতো দ্রুত দেশটি করোনা নিয়ন্ত্রণে আনলো এ বিষয়ে মহামারি বিশেষজ্ঞ পেদ্রো গুইওন বলেন, এটি একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। গ্রীষ্মের শুরুতে হঠাৎ করে সংক্রমণ পরিস্থিতি বেড়ে যায়। তখন আমরা ভাবছিলাম, আমরা কী মহামারি মোকাবিলা এতোটাই খারাপভাবে করছি। স্পেনের করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রধান কারণ টিকা অভিযানের সাফল্য।
বিশেষজ্ঞ জানান, বর্তমানে স্পেনে অন্তত ১ ডোজ কোভিড টিকা নিয়েছেন এমন লোক আছে শতকরা ৮০ শতাংশ। ২ ডোজ টিকাই শেষ করেছেন দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ।
মহামারি বিশেষজ্ঞ পেদ্রো গুইওন বলেন, মহামারি সর্বশেষ ঢেউয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল তরুণরা। যারা টিকার বাইরে ছিল। হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যার ওপর প্রভাব এই ঢেউয়ে কম ছিল। যার কারণ, তরুণদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। তাদের সংক্রমণ গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা কম।
উল্লেখ্য, গত আগস্টে শতকরা ৫০ শতাংশের ওপরে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত তরুণদের করোনা টিকার আওতায় আনা হয়।