মো: ইব্রাহিম,ফ্রান্স থেকে
OFII-কার্ড নিয়ে জালিয়াতি করার একটা বিশাল চক্রকে ফ্রান্স ধরেছে।কারণ হঠাৎ করে ইউক্রেন এবং মোলদোভার নাগরিকদের এজাইলাম আবেদন বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নজরে আসলে ফ্রান্সের পুলিশের ইন্টেলিজেন্স বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে।
চক্রটির প্রসেসটি ছিল এরকম :
১। এই দুই দেশ থেকে লোক আনা হয় চোরাইপথে এবং এরপরে তাঁদেরকে কোনো পরিত্যক্ত কারখানা বা কোনো স্থানে রেখে এজাইলামের আবেদন করা হয় যেন কার্ডটি পাওয়া যায়।
২। চুক্তিভিত্তিক হোক আর জোর করেই হোক এই লোকগুলো আবেদনের পরে আবার যার যার দেশে চলে যায় অথবা কেউ প্রসেস চলাকালীন সময় অন্যকাজ করে ফ্রান্সে কিন্তু সেইটা জাস্ট খণ্ডকালীন/স্থায়ী।তবে যেইটাই হোক কার্ড তাঁদের কাছে থাকে না।চক্রটি এই কার্ডগুলো রেখে দেয়।নরমালি এজাইল চলে ৬-৮ মাস এবং এই প্রসেস চলাকালীন সময়ে সরকার থেকে প্রতিমাসে পাওয়া ৪২০ ইউরোর মানবিক সাহায্য এই চক্রটা নিজেরা ইউজ করে।
এই অভিযানে প্রায় ৫০০টি এমন কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ১-২ মিলিয়ন ইউরো আত্মসাৎ করেছে চক্রটি।কিছু ইউরো ফ্রান্সে স্পেন্ড করা হয় এবং বাকিগুলো ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন দিয়ে ইউক্রেন-মলডোভাতে ট্রান্সফার করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে OFII এর ডিরেক্টর জেনারেল Didier Leschi এর মন্তব্য বেশ যৌক্তিক।তিনি মন্তব্য করেছেন,ফোনে এইভাবে এজাইলাম আবেদনের বিষয়টি এজাইলামের আবেদন ত্বরান্বিত করলেও এই ধরণের চক্র এইভাবে এমন জালিয়াতি করে ইউরো আত্মসাৎ করতে পারে যেটি এই টেলিফোনে এজাইলাম প্রক্রিয়ার নেগেটিভ দিক।কারণ টেলিফোনেই খুব দ্রুত এমন আবেদন করা যায়।
N.B.: ফ্রান্সের প্রশাসন যেকোনো ক্ষেত্রে যদি কঠোর হয় কিংবা আইন পরিবর্তন করে তাঁর জন্যে দায়ী কারা থাকবে সেটি নিজের কাছেই প্রশ্ন করতে পারেন।কারণ তাঁদেরকে বাধ্য করা হবে এইগুলো করতে।
#francebangla