চৌধুরী হারুনুর রশীদ,রাঙামাটি প্রতিনিধি :
রাঙামাটিতে জোরপুর্বক ভুমি দখল আদালতও প্রশাসনিক আদেশ মানছে না ! কোন ধরনের নিয়মনীতি পৌরসভার আইন কিছুই তোয়াক্কা করছে না। গাছ কেটে ওয়াল করার জন্য জেলাপ্রশাসক ও পৌরসভার নির্দেশনার নোটিশ দিয়েছেন প্রতিপক্ষদের। পরিমাপ করার জন্য নোটিশ ইস্যু করলে তা স্থগিত রাখেন প্রতিপক্ষের দুর্বলতার কারণে। বর্তমানে গাছ কেটে সীমানা অতিক্রম করে ব্রীক নিমার্ণ অব্যাহত রেখেছে । ৫/৬ টি পরিবার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে এই পাড়ায় বসবাস করে। কতিপয় এলাকাবাসীর দোহাই দিয়ে কখনো পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নাম ব্যবহার করিয়া জোরপুর্বক ভুমি দখল করে আসছে। পৌরসভার সড়ক রক্ষার ওয়াল পর্যন্ত সুপারী গাছ রোপন করে দখল করেছে তা দৃশ্যমান।
রাঙামাটি ৮ নং ওয়ার্ডের চম্পক নগর এলাকায় শহিদুল ইসলাম রাসেল পিতা-মৃত শামশুল আলম ও জাহানারা বেগম স্বামী-মৃত শামশুল আলম আরো ১০/১২ জন অনধিকার সীমানা অতিক্রম জোরপুর্বক মাটি কেটে ফেলে। এবং আমার ৩০ বছর পুর্বের ইটার প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে । এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেড এর আদালতে নোটিশ ও থানার অভিযোগ কার্যকর করছে না পুলিশ । জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী ভুমি অফিসের কানুনগো সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে এসে নিষেধ করেছেন। তারপরও ঘরের দেওয়াল সীমানা অতিক্রম নিমার্ণ কাজ অব্যাহত রেখেছে প্রতিপক্ষরা ।
পুর্বেও মালিকের পরিমান করার জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার ভুমি নোটিশ করলে প্রতিপক্ষরা বাধা দেন। দৈর্ঘ্য -প্রস্ত মাঠ খসড়াসহ পাচশত জায়গা বুঝিয়ে নিয়েছি । বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং থেকে ঋণ নেওয়ার আগে স্পষ্ট সরেজমিনে পরিমাপ করেন ভুমি।
এমতাবস্তায় পরিমাপ না করে নিমার্ণ বন্ধ রাখতে ৯৯৯ ফোন করি । ৯৯৯ থেকে যেই ভাবে বলেছে সেইভাবে কাগজপত্র ছবিসহ দাখিল করিয়াছি। ওসি কবির কোতয়ালী রাঙামাটি ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর তাপস রঞ্জন ঘোষ অভিযোগ সদয় অবগতির করা হয়। এস আই ওসমান সাধারণ পোশাকে এসে নিমার্ণ বন্ধ রাখতে মোখিক বলে গেলেও নিমার্ণকাজ অব্যাহত রাখায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ জাহানারা বেগম উম্মাদ অবস্থায় লাটি নিয়ে এসআই ওসমানের সামনে হামলা করতে তেড়ে আসে ।
ওসি প্রথমে বলেছে অভিযোগ দিলে কাজ বন্ধ রাখবে । কিন্ত তারা অদৃশ্য শক্তির ইশারায় নিমার্ণ কাজ চালিয়ে বলেছে। আমার সাথে ঘরের দেওয়াল নিমার্ণ করা যায় কিনা প্রশ্ন করা হলে কোতয়ালী থানা ওসি প্রথমে একটি লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। পরে বিষয়টি ওসিকে জানালে আদালতের একটি নোটিশ নিয়ে আসতে বলেন তাহলে আমি ধরে নিয়ে আসবো। এই পর্যন্ত নিমার্ণ কাজ বন্ধ করার জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। ভুমি অফিস সরেজমিনে পরিমাপ করে সত্যতা পেলেও থানা কোন আইনগত পদক্ষেপ নেয়নি। আদালতের নির্দেশ আসার পর ৬ এপ্রিল সকাল ৭টা থেকে নিমার্ণ কাজ করে রাসেল ও ৭/৮ জন শ্রমিক। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার ইউএনও নির্দেশে নিমার্ণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হলেও তারা কোন কথা শুনেনি। আইনের প্রতি বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে নিমার্ণ করে যাচ্ছে। মহড়া দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে কিছু বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বসবাসকারী চাদাবাজ ও বহিরাগত মুখোস জনপ্রতিনিধি আড়ালে লুকিয়ে কতিপয় দুস্কৃতিকারী। জবর দখলের সহযোগী ও ইন্দনদাতা হামলা ভাংচুরের অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিআর মামলা-২৯৭/১৯ নিয়ন্ত্রণ করেছে ।
আরও পড়ুন : রাঙামাটির দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত