নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় মধুপুর জাবালে নুর মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনার পর দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে সোমবার রাতে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক ইব্রাহীমকে আটক করা হয়। মাদ্রাসা শিক্ষক হলো, কুমিল্লা জেলার হুমনা থানার দুর্গাপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে হাফেজ ইব্রাহিম।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলো- রাকিব ও মাহফুজ। এর মধ্যে রাকিব ঘটনার পর থেকে তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপরদিকে মাহফুজের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। তবে মাহফুজ বর্তমানে মাদ্রাসা অবস্থান করছে। এলাকাবাসী জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার আশুলিয়ার শ্রীপুরের নতুননগর মথনেরটেক এলাকায় একটি মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থী রাকিব ও মাহফুজকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ইব্রাহিম। এ সময় ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, ওই শিক্ষক দুই ছাত্রকে মারধর করার সময় আহত শিশুরা তাদেরকে না মারতে অনুরোধ করলেও তিনি থামেননি। আহত শিক্ষার্থী রাকিব ইসলামের বাবা এমদুল ইসলাম বলেন, তার সন্তানকে হিফ্জ বিভাগে ভর্তি করেন। সেখানে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে সে ভালো লেখাপড়া শিখে একজন আলেম হবে। যাদের কাছে থেকে মানুষ হবে, তারা যদি হয় নির্দয় ও নিষ্ঠুর হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা কি শিখবে। এভাবে গরুকেও মারধর করে না। তার সন্তানের সারা শরীরে রক্তাক্ত জখমের ক্ষত রয়েছে। তাকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করেছে শিক্ষক ইব্রাহিম। এসময় তার ছেলে পানি চাইলেও সে তাকে পানি পান করতে দেয়নি।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীদের পরিবারের সাথে কথা বলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। আহত শিশুদের মধ্যে রাকিবকে তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। রাকিব ইসলামের বাবা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।