ঈদে আমরা চাইলেই বাড়ী যেতে পারছি…
দিতে পারছি স্ট্যাটাস..
‘মায়ের কাছে’ “বাবার কাছে” প্রিয় জন কিংবা নাড়ীর টানে!
কারণ…
এই লকডাউনেও বড় লোকের জন্য বিমান চলছে…পারসোনাল গাড়ী চলছে!…চলছে মাইক্রোবাস.. বিশেষ এ্যাম্বুলেন্স!
সামর্থবান দের জন্যে পথে বাধা নেই..বিজিবি নেই…পুলিশ নেই!
যত বাধা খেটে খাওয়া মানুষগুলোর…
ফেরিঘাটের মানুষ গুলোকে নিয়ে কত ট্রল দেখলাম…ছবি দেখলাম…ভিডিও দেখলাম! আলোচনা সমালোচনা দেখলাম!
বিশ্বাস করেন চোখে জল আসে।
আমি ওদের আকুলতা দেখেছি…ক্রোধের অনল দেখেছি!
দোষটা কি ওদের??
নাকি আমাদের সিস্টেমের?
ঘরে ফেরার এ বেপরোয়া ভাবকে সামনে এনে…আমরা কি নিজেদের সিস্টেমের ব্যর্থতাটাকে আড়াল করছিনাতো?
শুনলে অবাক হবেন…
যারা জীবন বাজী রাখে এভাবে গ্রামের পথে পাড়ি জমাচ্ছে…বিশ্বাস করেন অসুস্থ হলে ওরা আইসিইউ পর্যন্ত যেতে পারবেনা ! ওদের সেই সামর্থ নেই। অনেকে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছায় না। তার আগেই জীবনের সব হিসেব চুকিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তারা!
যত ভয় ওদের ক্ষুধাতে কোভিড-১৯ কিংবা ভ্যারিয়েন্ট (বি.১.৬১৭) তে নয়!
পেটের ক্ষুধা প্রিয়জনের সান্নিধ্যে যাওয়ার ক্ষুধা!
[ ডা. জসিম তালুকদার
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি’র সদস্য, সভাপতি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও সমন্বয়ক বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা- বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ]