হিটলার ইহুদিদের মারার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। নিরবংশ করতে চেয়েছিল। হত্যার জন্য হিটলার ঘৃনিত হয়। তখন হিটলার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য কিছু ইহুদী বাঁচিয়ে রাখে। সে বলেছিল, “আমি চাইলে সকল ইহুদী মেরে ফেলতে পারতাম। কিছুসংখ্যক বাঁচিয়ে রাখলাম যাতে পরবর্তীতে বিশ্ববাসী বুঝতে পারে ইহুদি কত ভয়ানক একটা জাতি।”
ছবিতে এরা কারা? ছবিটা দেখার পর কি ভাবছেন? ইসলাম এবং মুসলমাদের চিরশত্রু ইহুদী,
এরা অভিশপ্ত এক জাতি পৃথিবীর কোথাও যখন তারা নিরাপদ নয়, এরা ঠিক এভাবেই (বর্তমানে বার্মার রোহিঙ্গার ন্যায়) এসেছিল ১৯৪০ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে, একটু আশ্রয় পাওয়ার আশায়।
আর ফিলিস্তিনিরাও বাংঙ্গালিদের মত দয়া ও মানবতার নজির স্হাপন করতে গিয়ে, নিজেদের জায়গা, খাবার, পরার কাপড় দিয়ে সাহায্য করেছিল।
পরবর্তীতে ইয়াহুদিরা ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপন করে তথাকথিত ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র কায়েম করল।
আর তারা হল আজকের ইসরাইলিদের পূর্ব পুরুষ।
ইসরায়েল একটা অবৈধ, দখলদার দেশ৷ ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে অবৈধ ইহুদীবাদী ইসরায়েল এর সৃষ্টি। দিনের পর দিন অভিশপ্ত ইহুদিরা ফিলিস্তিনের ভূমি,বাড়িঘর দখল করে অবৈধ
বসতি স্হাপন করে যাচ্ছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শুরুর দিকে যে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব করেছিল, তারমধ্যে ছিল ইসরায়েল। ১৯৭২ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ইসরায়েল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব করেছিল। ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের কারনে তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের তাজউদ্দীন আহমেদ লিখিতভাবে ইসরায়েলের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেছিল। সেই অবস্থানের পিছনে মূল বিষয় ছিল ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সমর্থন। ৫০ বছর পরেও ইসরায়েল প্রশ্নে বাংলাদেশের সেই অবস্থানে কোন পরিবর্তন আসেনি।
পরবর্তী বঙ্গবন্ধুও যতদিন ফিলিস্তিনের অধিকার প্রতিষ্টিত না হবে ততদিন ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দেবার ঘোষনা দেন।
পরবর্তী সরকারগুলোও একই নীতি অনুসরন করে আসছে । শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাখ্যানের কারণে পরবর্তীতে আর কখনো স্বীকৃতি দানের কথা উঠেনি।
কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কোন দেশ অন্য কোন দেশকে চাপ প্রয়োগ করে না। এমন নজির এখন পর্যন্ত নাই। কিছুদিন আগেও ইসরায়েল জোর তৎপরতা চালিয়েছে বাংলাদেশ তাদেরকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশ আগের অবস্থানেই আছে। চরম ইসলামের শত্রু ইসরায়েলের সাথে বাংলাদেশের মানুষের কোন সম্পর্ক নাই। মুসলিম দেশ গুলো ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা শুরু করেছে তবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কি করবে সেটাই দেখার বিষয়।
[ লেখক,ডা. জসিম তালুকদার মানবাধিকার সংগঠক, চিকিৎসক, রাজনৈতিক, ও জেলা সংবাদ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ]